বেরোবি প্রতিনিধি : মাসরিকুল হাসান সোহেল
সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিষয়ে তরুণদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইয়ুথ লিডারশীপ নেটওয়ার্ক এর আয়োজনে ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সম্প্রীতি অলিম্পিয়াড-২০২৪’।
শনিবার ( ২৬ অক্টোবর ২০২৪), সকাল ৯:৩০ টায় রংপুর জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অলিম্পিয়াড শেষে সকল অংশগ্রহণকারীদের সাথে সম্প্রীতি বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করা হয়েছে।
অলিম্পিয়াডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: তোফায়েল হোসেন (অব: প্রফেসর, ইংরেজি বিভাগ, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: আব্দুর রহিম (আঞ্চলিক ডিরেক্টর, বাংলাদেশ বেতার, রংপুর), মো: আবদুল্লাহ আল মাহবুব (সহকারি অধ্যাপক ও সরকারি প্রক্টর, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর), লায়ন মো: আজহারুল ইসলাম দুলাল (সহযোগী অধ্যাপক, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, রংপুর)। উপস্থিত ছিলেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে ইরফানুল বারী, মাহমুদা বেগম শরীফা, আব্দুল্লাহ হাসান সাঈদ ও ইয়ুথ লিডারশীপ নেটওয়ার্ক এর নেতৃবৃন্দ।
অধ্যাপক মো: তোফায়েল হোসেন বলেছেন “একটি শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল সমাজ গঠনে তরুণদেরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের সমাজের বহুবিচিত্র সংস্কৃতি, ধর্ম ও মতাদর্শ একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধার শিক্ষা দেয়। তাই, সম্প্রীতি বজায় রেখে সমাজে সামগ্রিক উন্নয়নে তরুণদের সচেতন হতে হবে।
মো: আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেছেন , “সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি গড়ে তোলে। আজকের তরুণদের নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতা বজায় রাখার শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আমাদের বহুধর্ম ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য আমাদের শক্তি, যা আমাদের একতাবদ্ধ করে।”
অধ্যাপক লায়ন মো: আজহারুল ইসলাম দুলাল বলেছেন,”সম্প্রীতি একটি সমাজের শক্তির মূলভিত্তি। আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি এবং মতাদর্শের সহাবস্থান রয়েছে, যা আমাদেরকে একে অপরের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতির শিক্ষা দেয়। এই বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানোই আমাদের প্রকৃত সম্প্রীতির রূপ দেয়।”
মাহমুদা বেগম শরিফা, তরুণদের মধ্যে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন তিনি বলেন, “সম্প্রীতির শক্তি একটি সমাজকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সমাজে ভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির সহাবস্থান আমাদের জন্য এক ধরনের সৌন্দর্য, যা আমাদেরকে আরও সংহত এবং ঐক্যবদ্ধ করে। তরুণদের উচিত নিজেদের মধ্যকার বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানো এবং এতে শক্তি খুঁজে বের করা।”অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সেরা দশজনকে ক্রেস্ট, পরিবেশ বন্ধু গাছ ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়।অলিম্পিয়াড শেষে সকল অংশগ্রহণকারী এবং অতিথিদের নিয়ে একটি সম্প্রীতি রেলি আয়োজন করা হয়।
সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্পর্কে সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি এই অলিম্পিয়াড এর সার্থকতা এবং এই অলিম্পিয়াড এর মাধ্যমে সকলেই প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হন যে তারা সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমাজে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবেন।