মোঃ হানিফ মিয়া,লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে কাল থেকে ৩ দিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হতে যাচ্ছে। জেলা শহরের কালেক্টরেট মাঠে এই ইজতেমা শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে ৩দিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হয়ে (৫ অক্টোবর) শনিবার আখেরি মোনাজাতে মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া কথা রয়েছে।ইজতেমায় ধর্মের আলোকে বয়ান করবেন ঢাকা কাকরাইল মসজিদের দেশবরেণ্য ১০ আলেম।
লালমনিরহাট জেলা ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হাসান আলী জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার পর এই ইজতেমা উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিহাটের মুসলিম উম্মাহর সব থেকে বড় জমায়েত। আগামী ৩, ৪ ও ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা ইজতেমার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এবারে জেলার ৫ উপজেলা ও দুইটি পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের প্রায় ৫০ হাজার মুসল্লি অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে তবলিগ জামাতের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নিবেন। ধর্মের আলোকে বয়ান করবেন ঢাকা কাকরাইল মসজিদের দেশবরেণ্য ১০ আলেম।
বুধবার সকাল থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেছেন। মুসল্লিদের জন্য অজু ও গোসলখানাসহ পর্যাপ্ত শৌচাগারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবায় বিনা মূল্যে মেডিকেল চেকআপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জেলা ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির সুরা সদস্য হারুন অর রশিদ জানান, বিশাল মাঠ জুড়ে বাঁশ দিয়ে ছামিয়ানা তাবু টাঙ্গিয়ে ইজতেমা প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হচ্ছে। ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লিদের জন্য একশ’র ওপরে শৌচাগার, গোসলখানা ও অজুখানা, অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে। সেই সাথে ইজতেমায় প্রশাসনিক নিরাপত্তার পাশাপাশি শতাধিক সেচ্ছাসেবী জোরদার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ইজতেমা সফল করতে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি ইজতেমা প্রাঙ্গণে দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক কাজ করবেন।
লালমনিরহাট সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, জেলা ইজতেমা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেজন্য ইজতেমা ময়দানে সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে কর্মপন্থা সাজানো হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো ইজতেমা ময়দান পুলিশের নজরদারিতে থাকবে।