সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টাঙ্গাইলের স্রোতস্বিনী সুন্দরী খাল যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে নাগরপুরের পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি: ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বর্তমান অবস্থা রায়পুরে মাদক বিক্রয় বাধা দেওয়া মারধর ১জন আহত লালমনিরহাটে সাংবাদিকের উপর হামলাকারী মাইদুল গ্রেফতার নতুন বছর কে স্বাগত জানাতে চলছে চাঁদাবাজির হিরিক হাজারীবাগে লালমনিরহাটে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের গন সমাবেশ অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে নবগঠিত হলো শ্রমিক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন; সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির রায়পুর উপজেলার ২ নং ইউনিয়ন বিএনপি সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা রায়পুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

ওসির বিরুদ্ধে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা গ্রহনের অভিযোগ

  • Update Time : বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৬ Time View

খুলনা ব্যুরো:

গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ খুলনা সোনাডাঙ্গা থানায় একটি ভুয়া মিথ্যা মামলা গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় উক্ত মামলার বাদী অনুপম কুমার মন্ডল, পিতা- মনিলাল মন্ডল, মাতা- শ্যামলী মন্ডল, ঠিকানাঃ গ্রাম- ডাকাতিয়া, ডাকঘর- ফুলতলা, থানা- ফুলতলা, জেলা- খুলনা, তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটসোর্সিং পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন, উক্ত চাকুরী করা কালীন সময়ে তিনি কোম্পানী কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হইয়া যে কয় মাস চাকুরী করিয়াছেন সম্পন্ন বেতন তিনি পান নাই এবং তার নিকট এজাহারে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা দাবি করেছেন মর্মে গতকাল সোনাডাঙ্গা থানায় ৪২০ ও ৪৫৬ ধারায় একটি এজাহার দাখিল করেন। উক্ত দাখিলকৃত এজাহার কোন রকম তদন্ত ছাড়া ওসি সাহেব মামলা রুজু করেছেন।

এ বিষয়ে উক্ত মামলার ১নং আসামী ও নড়াইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (চলতি) এবং নড়াইল জেলা কৃষকদলের ০৩ বারের সভাপতি (সাবেক) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গনদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও এস.এস. গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হেমায়েত হুসাইন ফারুকের সহিত কথা বলে জানা যায় সে তার কোম্পানীর যে সকল কর্মীদের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানার ওসি সাহেব যে মামলা গ্রহন করেছেন তা সম্পন্ন ভুয়া ভিত্তিহীন ও অ-গ্রহন যোগ্য একটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত মামলা। তিনি অভিযোগ করেন যে এই মামলা একটি কু-চক্রি মহলের চক্রান্তে অভিযোগকারী দায়ের করেছেন। একটি মহলের ঘৃণীত উদ্দেশ্য ও নিজ স্বার্থ হাসিলের কাংখ্যিত লক্ষে পৌঁছানোর জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হইয়া এহেন চক্রান্তকারীদের সহিত উনি হাত মিলিয়ে এ মামলা অভিযোগকারী দায়ের করেছেন।

তিনি আরো বলেন যে, অভিযোগকারীর যদি কোন বেতন অথবা টাকা পাওনা থাকে তাহলে তিনি কেনো কোম্পানী বরাবর আবেদন করেন নাই। এমনকি তিনি যে হাসপাতালে চাকুরী করিয়াছেন সে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উক্ত অভিযোগকারী হাসপাতাল বরাবর বেতন চেয়ে অথবা কোন দেনা পাওনা আছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগকারী অভিযোগ করেছেন এমন কোন তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোম্পানীকে অবহিত করেন নাই। অভিযোগকারী পূর্বে ১০০ লটের কর্মচারী ছিল বর্তমান তিনি কোম্পানীর কোন কর্মী না।

এ বিষয়ে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়া মামলা হওয়া কিভাবে সম্ভব, এছাড়া অভিযোগকারী বাকি যে সকল কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে তারা সকলে আউটসোর্সিং কর্মী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর কোন অভিযোগ থাকলে নিয়ম অনুযায়ী কোম্পানীকে অবগত করতে হবে কিন্তু অভিযোগকারী এমন কোন অভিযোগ কোম্পানী বরাবর দাখিল করেন নাই। অভিযোগকারীকে যদি কোন কর্মী অথবা আমার নিজস্ব কোন ব্যক্তিবর্গ হুমকি অথবা টাকা পয়সা দাবি করে থাকে তাহলে তিনি কেন থানায় জিডি করেন নাই যদি করেও থাকে তাহলে উক্ত জিডির কেন তদন্ত হয় নাই, অভিযোগকারীর সহিত সরাসরি চাকুরী করাকালীন অথবা তার বাইরে মুখোমুখি অথবা মোবাইলে আমার কখনো কোন কথা হয় নাই তাহলে কিভাবে তার কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে।

এ মামলা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য এবং আমার কোম্পানীর ভাব মূর্তি নষ্ট সহ একটি মহলের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, একটি চক্রান্ত মহল হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত ও পেশী শক্তির নিজ রাজত্ব স্থাপনের মাধ্যমে হাসপাতালের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদকসেবীদের অবাধ বিচরনের মাধ্যমে সুস্থ্য পরিবেশকে বিনষ্ট ও রোগিদের স্বাস্থ্য সেবা ও সরকারের সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিতের মাধ্যমে নিজেদের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার রাজত্ব কায়েমের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাশিয়ার মোঃ আলিমুজ্জামান এই সকল অপকর্ম ও দুষ্কৃিতি কারীদের সরাসরি নেতৃত্ব দিয়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট করছেন। উক্ত ঠিকাদার ক্যাশিয়ার আলিমুজ্জামেনর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ করেন যে ক্যাশিয়ার আলিমুজ্জামানের নিকট পাওনা ০৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা চাওয়ায় তিনি ঠিকাদারের উপর খিপ্ত হইয়া এসকল কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। এ ০৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা তিনি ১০০ জন কর্মচারীর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য গ্রহন করেছিলেন যা খরচ ব্যতিত ফেরত প্রদানের জন্য কিন্তু এখন তিনি ফেরত দিতে অভৃিতি জানাচ্ছে। ক্যাশিয়ার আলিমুজ্জামান বহিরাগত কিছু দুসকৃতি কারীকে সংগে নিয়ে ঠিকাদারের উপর হামলা চারানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ক্যাশিয়ার আলিমুজ্জামান ০৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা গ্রহন করেছেন মর্মে তার সহন্তে লিখিত রয়েছে। তিনি ক্যাশিয়ার আলিমুজ্জামানের অপসারন ও শাস্তির দাবি সহ এই সকল চক্রান্তকারীদের ঘৃনা ভরে প্রত্যাক্ষান ও এই মিথ্যা মামলা অনতি বিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102