খুলনা ব্যুরো:
৯২ দিনপর বন্ধ থাকার পর আগামীকাল থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ উন্মুক্ত হচ্ছে। বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বনজীবী ও পর্যটকরা রোববার থেকে নিয়ম মেনে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে। সুন্দরবনের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষা, বন্য প্রাণী এবং নদী-খালের মাছের বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় সুন্দরবন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৯২ দিন সুন্দরবনে ইকোট্যুরিজমসহ বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন সুন্দরবন-সংলগ্ন বনজীবী পরিবারগুলো। কয়রা উপজেলার ৪ নং কয়রা
গ্রামের আবু মুছা বলেন, জন্মের পর যখন বুঝতে শিখেছি তার পর হতে সুন্দরবনে মাছ ধরে
জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু ৯২ দিন বন্ধ থাকায় অভাব-অনাটনের মধ্যে দিয়ে দিন পার করেছি। ১ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি পেলে মাছ ধরতে যাব। উপজেলার কাঠকাটা লঞ্চঘাটের ট্যুর অপারেটর শেখ রিপন আহমেদ বলেন, দির্ঘদিন সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় আমাদের কোন ভাড়া হয়নি। বোর্ড গুলো অলস পড়ে রয়েছে। রোববার থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি মিলবে। সে জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এখনো কোন বুকিং না পেলেও বুকিং পাবেন বলে তিনি জানান। কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র মন্ডল বলেন, সুন্দরবনবন পশ্চিম বন বিভাগের
আওতাধীন খুলনা রেঞ্জের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের আওতাধীন ৮ শ’ ৭৫ টা নৌকার সুন্দরবনে প্রবেশের বিএলসি (বোট লাইসেন্স সার্টিফিকেট) আছে। ১ সেপ্টেম্বর সুন্দরনের প্রবেশের অনুমতি পাবেন। সে সময় জেলে-বাওয়ালী ও পর্যটকরা নিয়ম মেনে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন । খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডক্টর আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবন জল-স্থলভাগ শুধু জীববৈচিত্রেই নয়, মৎস্য সম্পদের আধার।
সে কারণে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। সেজন্য সুন্দরবনের সব নদী- খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।