কয়রা প্রতিনিধি; মোঃ আল-আমিন:
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটু ও সাধারন সম্পাদক আবির হোসেন ফেসবুকের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন রাতুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার অব্যাহত রাখায় চব্বিশ ঘন্টার মধ্য কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটু ও সাধারন সম্পাদক আবির হোসেনকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে কয়রা উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রশাসনের কাছে এ দাবি জাননো হয়।শিক্ষার্থীদের এ মানববন্ধনে একত্বতা ঘোষনা করেন কয়রা সরকারি মহিলা কলেজ ও কপোতাক্ষ কলেজের শিক্ষকবৃন্দ এবং কয়রা বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহসিন আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছাফুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইয়াহিয়া জিসান, কপোতাক্ষ কলেজের শিক্ষার্থী তুহিন হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোঃ আবু তালহা, কয়রা বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি সরদার জুলফিকার আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজমুছ সাকিব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফউজ্বামান উজ্বল, কপোতাক্ষ কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, কয়রা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রুহুল কুদ্দুস।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, সাংবাদিকতার আড়ালে তরিক লিটু ও আবির হোসেন তথাকথিত কয়রা সাংবাদিক ফোরাম নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে তুলে এলাকায় মানুষকে জিম্মি করে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করত।এখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা তাদের এই নীতি-নৈতিকতা পরিপন্থি কাজের বিরোধিতা করে ৯ তারিখে বিবৃতি দিয়ে তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।এখন তারা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে এবং তারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
ইতিপূর্বে তারিক লিটুকে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ে অপসাংবাদিকতার দায়ে তাকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, মানববন্ধনের খবর পেয়েছি। তবে এ বিষয়ে থানায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।