সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নাগরপুরের পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি: ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বর্তমান অবস্থা রায়পুরে মাদক বিক্রয় বাধা দেওয়া মারধর ১জন আহত লালমনিরহাটে সাংবাদিকের উপর হামলাকারী মাইদুল গ্রেফতার নতুন বছর কে স্বাগত জানাতে চলছে চাঁদাবাজির হিরিক হাজারীবাগে লালমনিরহাটে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের গন সমাবেশ অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে নবগঠিত হলো শ্রমিক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন; সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির রায়পুর উপজেলার ২ নং ইউনিয়ন বিএনপি সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা রায়পুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ কয়রায় ব্র্যাকের যক্ষ্মা বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত

কয়রায় জমির বিরোধে প্রাণ গেলো প্রধান শিক্ষকের

  • Update Time : সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪
  • ৪৯ Time View

কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি:

খুলনার কয়রা উপজেলার কয়রা মদিনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জমিজমা নিয়ে বিরোধে দিনের বেলা প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করার চার দিন পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ তে মারা গেছেন। নিহত এম.এম রেজাউল করিম (৫৩) কয়রা মদিনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে পারিবারিক কলহ ও জমিজমার বিরোধ নিয়ে তাঁকে প্রচন্ড মারপিট করা হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।শিক্ষক কে হত্যা করায় ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থী, স্বজন ও এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদশী সুত্রে জানা যায় ,প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম কয়রা বাজার হতে বিকালে বাড়ি ফেরার পথে রশিদ মোল্লার মোড়ে পৌছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান লিটন,সেলিম, সোহরাব মোল্লা সহ সঙ্গীরা পথ আটকিয়ে জমিজমা বিষয় তর্ক করতে থাকে।এসময় লিটন,সেলিম,সোহরাব মোল্লার সঙ্গীরা তাকে প্রচন্ড মারপিট করে।

নিহতের কন্যা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন,জমিজমা নিয়ে পারিবারিক শক্রতা বহু দিনের।আমার আব্বা শান্তি প্রিয় মানুষ ছিলেন।তিনি শিক্ষকতা নিয়েই পড়ে থাকতেন।জমির জন্য আমার আব্বা কে মেহেদী হাসান লিটন সহ কয়েক জন সংঘবদ্ধ হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ বিষয়ে কয়রা সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম বলেন,রেজাউল করিম একজন মেধাবী শিক্ষক ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজের ক্ষতি হয়ে গেল।আমরা তার হত্যার বিচার চাই।

কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মিজানুর রহমান বলেন,শিক্ষক রেজাউল করিমের মারধরেন বিষয়টি শুনেছি,তার মৃত্যুর সংবাদ আপনার মাধ্যমে জানলাম।এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দ্বায়ের হয়নি।অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102