সখিপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি,মোঃ আবু বকর সিদ্দিক (অপু):
টাঙ্গাইল জেলার প্রধান নদী যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি কয়েক দিন কমার পর গত ২৪ ঘন্টায় আবারো নতুন করে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়াও শাখা নদী গুলোর পানিও বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হয়েছে। জেলার কয়েকটি উপজেলার বিস্তির্ণ জনপদের বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলী জমিসহ অন্যান্য স্থাপনায় প্রবেশ করা বন্যার পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত কয়েকদিন পানি কমায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিড়ে এসেছিল। নদীর পানি আবারো বাড়তে থাকায় তারা আতংকিত হয়ে পরেছেন। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই-২০২৪)সকাল নয়টায় টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপরদিয়ে, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপরদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা ব্রীজ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার, এবং মধুপুর পয়েন্টে ৯সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এসব নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তায় ত্রান সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে।