নাজমুস সাকিব (নিলয়),চিলমারী উপজেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যার পানিতে পানিবন্দি কিশোরীদের জন্য দেওয়া অনুদানের টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ওই ইউপি সদস্য তার এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে সুবিধাভোগী কিশোরীদের নিকট থেকে এসব টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল নয়ারহাট ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চলমান বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়া পরিবারে থাকা কিশোরী মেয়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য রোববার জনপ্রতি ২হাজার ৫শ করে টাকা বিতরণ করে সি ডব্লিউ এফ ডি নামের একটি সংগঠন। টাকা বিতরণের সময় সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে ১হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকার হালিমা খাতুন নামে এক ছাত্রীর সহায়তায় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে এসব টাকা লেনদেন করা হয়। অনুদানের টাকা দেওয়ার সময় স্থানীয় শওকত আলী নামে এক যুবকের সহায়তায় ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে জন প্রতি ১হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ওই এলাকার সুবিধাভোগী কিশোরী আইরিন আক্তার, মুনতাহা খাতুন ও লিলি খাতুনসহ অনেকে জানায়, তাদের টাকা দেওয়ার সময় স্থানীয় শওকত আলী তাদের নিকট থেকে ১হাজার টাকা করে নেয়। কিশোরী সুমি আক্তার, নদী আক্তার ও মাসুমা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন কিশোরী জানায়, তালিকায় তাদের নাম থাকলেও তারা টাকা পায়নি। অপরদিকে এক কিশোরীর হাতে কয়েকজনের টাকা দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। অনুদান প্রদানের তালিকায় নাম থাকা কড়াইবরিশাল এলাকার ১৫/২০ জন নারী সোমবার ওই এলাকায় গিয়ে হালিমা খাতুন ও আব্দুস সাত্তার মেম্বারের বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখে ফিরে যাওয়ার কথা জানা গেছে।
এদিকে অনুদানের অর্থ বিতরণের সাথে জড়িত স্থানীয় কারো কাছ থেকে সি ডব্লিউ এফ ডি নামের সেই সংগঠনের কোনো পরিচয় কিংবা কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
কিশোরীদের অনুদানের টাকার বিনিময়ে উৎকোচ আদায়কারী শওকত আলী জানান, সাত্তার মেম্বার আমার নিকট থেকে কয়েকটি নাম চেয়েছিল। আমি ৫টি নাম দিয়েছিলাম। ওই ৫জনের নিকট থেকে জন প্রতি ১হাজার টাকা করে নিয়ে আমি সাত্তার মেম্বারকে দিয়েছি আর কিছু জানি না।
নয়ারহাট ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আব্দুস সাত্তারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেইনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। কে বা কারা টাকা বিতরণ করেছে, তারা আমাকে জানায়নি।