মাহাবুল ইসলাম গাজীপুর:
আগামী ১৭ জুন পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে গাজীপুর বৃহত্তম টঙ্গী পশুর হাট। ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পশু বিক্রেতারা হাটে এসে জায়গা করে নিচ্ছেন। বিক্রেতারা আশা করছে, যত দিন যাবে ততই জমে উঠবে পশুর হাট।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীর পশুর হাটে প্রচুর গরু আসতে শুরু করেছে। হাট জমে না উঠলেও নিজেদের দুর্ভোগ কমাতে আগেভাগে চলে এসেছেন বলে জানান পশু ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরে ঢাকার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অধীনে অস্থায়ী ২০টি এবং স্থায়ী দুটি হাটে পশু বিক্রি হবে। এসব হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভোগান্তি কমাতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবে গাজীপুর সিটি মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
নিরাপত্তার জন্য জাল টাকা শনাক্ত মেশিন, ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ, সাদা পোশাকে টহল, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণসহ সব ব্যবস্থা থাকবে।
গতকাল সরেজমিন গাজীপুর পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, গাজীপুর টঙ্গী পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় গবাদি পশু নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি ঘণ্টায় ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে গরু-ছাগল। হাটে আসা ক্রেতার সংখ্যাও কম নয়।
পশু বিক্রিও হচ্ছে টুকটাক। তবে এখনো হাটের দু-তৃতীয়াংশ ফাঁকা। যেসব বিক্রেতা তাদের পশু হাটে নিয়ে এসেছেন তাদের অধিকাংশই এসেছেন গতকাল সকালে। হাটে এখনো পুরোপুরি বেচাবিক্রি শুরু না হলেও দাম কিছুটা চড়া হাঁকছেন বিক্রেতারা। বড় গরুর তুলনায় মাঝারি আকারের গরুর দাম বেশি দেখা যায়।
বিক্রেতারা বলছেন, হাটে স্বল্পহারে বেচাকেনা শুরু হলেও পুরোপুরি জমতে আরও ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এবার হাটে বড় এবং মাঝারি গরু বেশি এসেছে। সেগুলোই এখন বিক্রি হচ্ছে। ছোট গরু এখনো তেমন আসেনি। শেষের দিকে ছোট গরু এলে সেগুলো বেশি বিক্রি হবে।
তবে ক্রেতাদের দাবি, গতবারের চেয়ে এবার পশুর দাম একটু বেশি। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা হাফিজুল ইসলাম বলেন, হাট ঘুরে দেখছি। দামের আইডিয়া নিচ্ছি। গত বছরের তুলনায় দাম অনেক বেশি চাইছে বিক্রেতারা। কয়েকদিন পরে দেখেশুনে গরু কিনব।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ৪০টি গরু নিয়ে আসা আমজাদ হোসেন বলেন, সড়কের দুর্ভোগ এড়াতে আমরা আগে চলে এসেছি। এখন পর্যন্ত কোনো গরু বিক্রি করতে পারিনি।পাবনার সাঁথিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, এবার গরুর দাম বেশি, তাই বেচাকেনা এখনো পুরোপুরি জমেনি। মানুষ ভাবছে শেষের দিকে দাম কমবে।
হাট কর্তৃপক্ষ বলছেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে হাটের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। আগামী বুধবার থেকে পুরোদমে জমে উঠবে টঙ্গী হক রোড় ও গাজীপুরা ও বড় বড় বাড়ি পশুর হাট।