১ জুন শনিবার রাত আনুমানিক ৮ টার সময় বসুন্ধরা আবসিক এলাকার সি ব্লকের ২ নাম্বার রোড়ের ১ নাম্বার বাসার মাটি প্রপার্টিজের দ্বিতীয় তলা থেকে আরিফুর ইসলাম (৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকার ভাটারা থানা পুলিশ।
অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে গত ১৭ মে শুক্রবার ৭ দিনের অগ্রীম ভাড়া প্রদান করে আরিফুল ইসলাম ও পারভীন আক্তার স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসাটি ভাড়া নেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায় নিহত আরিফুল ইসলাম জাপান ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার কানাডা প্রবাসী।মরদেহটি উদ্ধারের সময় তার পাশে বিয়ের কাবিন নামা ও একটি চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটে লেখা ছিলো ”আমার জীবনের শান্তি নষ্ট করে দিয়েছে এই রেপিস্ট, ব্ল্যাকমেইলার সে, তার নিজের ইচ্ছায় আমার হাতে ধরা দিয়েছে, নিজের হাতে রেপিস্ট ব্ল্যাকমেইলারকে মেরে শান্তি নিলাম”
১ জুন শনিবার মাটি প্রাপার্টিজ থেকে ভাটারা থানা পুলিশকে ফোন করে জানানো হয় অ্যাপার্টমেন্টির দ্বিতীয় তলায় এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাটারা থানা পুলিশ এবং সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।ক্রাইম সিন ইউনিট মরদেহটি পর্যবেক্ষণ করে জানান মরদেহের বুকে এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে গত ১৭ মে শুক্রবার পারভীন আক্তার কানাডা থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা যায় সে ১৮ মে শনিবার সকাল সাড়ে ৬ টায় বাসা থেকে একা বেড়িয়ে যায়, এরপর দিন পারভীন আক্তারের ফোনের সর্বশেষ অবস্থান ছিলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুলিশ ধারণা করছেন আরিফুল ইসলামকে হত্যা করে স্ত্রী পারভীন আক্তার আবার কানাডায় চলে গেছেন।পুলিশ বলছেন হত্যাকান্ডটি ছিলো সম্পুর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ও দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
আরিফুল ইসলাম এবং পারভীন আক্তারের সম্পর্ক স্বামী স্ত্রী না পরকিয়া তা জানতে কাজ করছে পুলিশ। নিহত আরিফুল ইসলাম নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের আদিয়াবাদ পশ্চিম পাড়া গ্রামের (কালিকুড় পাড়া) মোঃ শাহজাহান মিয়ার ছেলে এবং আদিয়াবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পারভীন আক্তারের পরিচয় জানতে এবং হত্যাকান্ডের আসল রহস্য উদঘাটন করতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।