লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় স্ত্রী মঞ্জুনা খাতুন (৩৫)কে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী মিন্টু মিয়া (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
সোমবার (২৭ মে) ওই গৃহবধূর মৃত্যু ও স্বামী মিন্টু মিয়াকে আটকের বিষয়টি আদিতমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকালে মৃত মঞ্জুনা খাতুনের বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতের আইলের উপর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মঞ্জুনা খাতুন মিন্টু মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে জানা গেছে।অভিযুক্ত স্বামী মিন্টু মিয়া ওই এলাকার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে।
এলাকাবাসীরা জানান, অভিযুক্ত মিন্টু মিয়া ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিহত মঞ্জুনা খাতুন এর মধ্যে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া লেগেই থাকতো। এছাড়াও মিন্টু তার স্ত্রীকে সবসময় সন্দেহ করতো। সোমবার ভোর রাতে ওই সন্দেহের জের ধরে দুই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। পরে সকালের দিকে মানিক মিয়া নামের এক কৃষক ধান কাটতে তার জমিতে গেলে তার জমির আইলের (সীমানা) মঞ্জুনার মৃতদেহ দেখতে পান। তখন তিনি এলাবাসীদের খবর দেন। তখন এলাকাবাসীরা আদিতমারী থানা পুলিশকে খবর দেন। এরপর আদিতমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মঞ্জুনার লাশ উদ্ধার করে এবং তার স্বামী মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সারপুকুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যতদুর জানি ওই নারীর শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এর আগে মিন্টুর আরও একজন স্ত্রী ছিল। সে তার পূর্বের ওই স্ত্রীকেও হত্যা করেছে বলে অভিযোগ আছে। লোকটা বেয়াদব টাইপের। তবে যেহেতু এটি পুলিশ কেস সেহেতু তারাই তদন্ত করার পর মৃত্যুর আসল কারণ ও এর পিছনে কে দায়ী তা নিশ্চিত হওয়া যাবে’।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মিন্টু মিয়া তার স্ত্রী মঞ্জুনা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এমন খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। সকালের দিকে লাশ উদ্ধার করার পর এবং দুপুরের দিকে নিহতের স্বামী মিন্টু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে এটি হত্যা কি না ময়নাতদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ না করে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না’।