লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় স্কুল ড্রেস পড়ে না যাওয়ায় হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক শিশুছাত্রকে বেধরক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে । ভুক্তভোগী ওই ছাত্রকে শুধু বেত দিয়ে বেধরক পিঠানোই নয়, পিটিয়ে পরে তাকে স্কুলের একটি শ্রেণি কক্ষে ঘন্টাখানেক তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা হাতীবান্ধা থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ মে) দুপুরে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে
সোমবার রাতে এ ঘটনা উল্লেখ করে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের বাবা হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্র তার স্কুলড্রেস ময়লা থাকায় সাধারণ পোশাকে স্কুলে যায়। সে কারণে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান তাকে শ্রেণীকক্ষের বাইরে ডেকে নিয়ে বেত দিয়ে নেদম প্রহার করেন । প্রহারে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপরেও ওই শিক্ষক তাকে বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণি কক্ষে প্রায় ঘণ্টাখানেক তালাবদ্ধ রাখেন। ফলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্র আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তার সহপাঠীদের কাছে ঘটনাটি শোনার পর ওই ছাত্রের বাবা স্কুলে যান। এরপর তাকে সেখান থেকে নিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রিলিজ দেন।
ওই ভুক্তভোগি ওই ছাত্রের বাবা জানান, একদিন স্কুল ড্রেস পড়ে না যাওয়ায় প্রধান শিক্ষক তার ছেলেকে অনেক পিটিছে। এতেও তিনি ক্ষান্ত হননি তিনি পরে প্রচন্ড গরমে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। এতে তার ছেলে অসুস্থ হয়ে মরতে বসেছিল। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। এক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।