চেহারায় মানবিকতার ছাপ। দুচোখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। কাজে দক্ষ, আচরণে মানবিক। চরিত্রে দৃঢ়তা ও সততার প্রতিচ্ছবি। পুলিশ বিভাগের এমন বহুগুণের অধিকারী হলেন মিজানুর রহমান।বাংলাদেশ পুলিশের খুলনার জেলার কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।
দেশেরে যে কজন পুলিশ কর্মকর্তার সততা, দক্ষতা ও মানবিক গুণে পুলিশের প্রতি মানুষেরই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হচ্ছে মিজানুর রহমান তাদের একজন। মেধা ও মননের সবটুকু দিয়েই কর্মজীবনকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারেন মহৎ গুণের অধিকারী এই পুলিশ কর্মকর্তা। নিজের পরিবারের মতই কর্মক্ষেত্রেও সহকর্মী এবং অধিনস্তদের প্রতি সহায়কের ভূমিকা পালন করেন তিনি। শিক্ষাজীবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে পথ চলেছেন। এখনও সেই চেতনা বুকে লালন করে সমৃদ্ধ দেশ গড়ায় এগিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলে ও খুলনা জেলার কয়রার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন।তিনি ২২-০৭-২০২৩ তারিখ কয়রা থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসাবে যোগদানের পর থেকে থানার আইন শৃঙ্খলা সহ সকল কার্যক্রম বদলে যেতে শুরু। এই অফিসার খুলনা জেলার কয়রা থানার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ দক্ষ পুলিশ অফিসার হিসাবে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন।। সাম্প্রতিক কয়রা উপজেলার কয়েক মাডার মামলার বিচক্ষতার সাথে অল্প সময়ের মধ্যে সত্য উদ্ঘাটন করে দোষীদের শাস্তি আওতায় এনেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব, ভ্যান চালক হতে সব শ্রেণি পেশার মানুষ সমান।তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেশে মানুষের মাঝে উপস্থিত হয়ে মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনছেন এমনটা উপজেলা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও থানা সেবা নিতে আসা বিভিন্ন মানুষের সাথে সাথে কথা বলে জানা যা।
তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তাই নন পাশাপাশি অনেক সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও অবদান রেখেছেন। ওসি মিজানুর রহমান কয়রা থানায় কর্মরত আছেন ১০ মাস। জানা গেছে,মিজানুর রহমান পুলিশে যোগদানের পর থেকেই তিনি একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে থাকেন। তিনি তার কর্মদক্ষতার কারণে একাধিকবার কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ শ্রেষ্ঠ অফিসারের পুরষ্কার পেয়েছেন।
তাঁর দায়িত্বরত এলাকার একাধিক মানুষ বলেন, তিনি আমাদের বন্ধু তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ আমাদের এলাকা মাদক, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, ইভটিজার, হরিণ শিকারী দের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী, সুন্দরবনে বিষ দিয় মাছ শিকার বন্ধ, জঙ্গি, মিথ্যা মামলায় হয়রানী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অনেকটাই মুক্ত। তারা আরো বলেন, তাঁর মতো একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠী আওয়াজ তোলা পুলিশ অফিসার পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য। তাকে যে কোন সময় যে কোন মুহূর্তে তাকে ফোন করলে পাওয়া যেত, নইলে পরে তিনি কল ব্যাক করেন । তারা এই কর্মকর্তার মঙ্গল কামনা করার সাথে সাথে ভালে কাজের শত্রু বেশি থাকায় সকল বিপদ থেকে মুক্তি কামনা করেন।
অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, মানবসেবার উন্মুক্ত প্লাটফর্ম পুলিশের চাকরি। সেবার মনোভাব নিয়ে নিজেকে জনসম্পৃক্ত রেখেই আমাদের কাজ করতে হয়।তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার গণমানুষের বন্ধু, সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখেহাসি ফোটাতে তাদেরকে হেফাজত করতে , মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে কতটুকু পেরেছি সেটা জনগণই ভাল বলতে পারবেন। তিনি বলেন, আমি আমার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিপিএম (বার) স্যার ও সিনিয়র স্যারদের পরামর্শে ও দিকনির্দেশনায়রসব সময় জনগণের জান মাল রক্ষার্থে কাজ করছি। আলোকিত সমাজ ও আলোকিত মানুষ গড়তে হলে আগে নিজেকে আলোকিত করতে হবে। সমাজকে আলোকিত করার মহান ব্রত নিয়েই এগিয়ে চলেছেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ।
২ নং কয়রা গ্রামের বাসিন্দা আলামিন ইসলাম বলেন, অফিসার মিজানুর রহমান যোগদান করার পর পুলিশ জনতার এ কথাটির প্রমাণ তিনি রেখেছেন। তিনি উপজেলার মাদক, ছিনতাই,সন্ত্রাস আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ সফলতা অর্জন করেছেন। এজন্য অপরাধীরা এই কর্মকর্তার প্রতি নাকচ।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল বলেন, তিনি দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে সরকারি দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলার সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে যে আস্থা ভালবাসা অর্জন করেছেন। তিনি কয়রা থানা কে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। সুদক্ষ, মেধাবী ও চৌকস এ পুলিশ কর্মকর্তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।
এলাকার একাধিক মানুষের অভিমত ওসি মিজানুর রহমান সততা ও ন্যায়নিষ্ঠায় মুগ্ধ হয়ে বলেন, জীবন সংগ্রামকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করার জন্য প্রয়োজন সঠিক মানুষের সঠিক পুলিশ অফিসারের । যে দিন বাংলাদেশের প্রতিটা থানায় একজন করে এমন অফিসার ইনচার্জ মতো সৎ পুলিশ অফিসার থাকবেন সেদিনই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সুন্দর এবং শান্তিময় দেশ।
কয়রা থানা এস আই ফরিদুজ্জামান বলেন , মিজানুর স্যারের মত একজন অভিভাবক পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তারমতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ণ পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব। প্রতিটি অপরাধ দমনে স্যারের মতো পুলিশ অফিসারের সান্নিধ্য পেলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যাপক অগ্রগতি হবে।