চট্টগ্রামের তহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ছিলেন প্রবাসে। প্রবাসে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় সীমা আক্তার শান্তা নামের এক নারীর সাথে। পরিচয় গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। ভুক্তভোগী তহিদুল বিয়ের কিছুদিন পরেই বুঝতে পারেন এটি বিয়ে নয় বরং প্রতারণা।
বিদেশে থাকাকালীন ফেইসবুকে সম্পর্ক হয় সীমা আক্তার শান্তা এবং তহিদুল ইসলামের। তিন মাস তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলে। নিতুর পরিবার তার বাবা-মা মিলে ছেলের কাছ থেকে জায়গার সমস্যা দেখিয়ে প্রথম দফায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।দ্বিতীয় দফায় জায়গার একি সমস্যা দেখিয়ে ৫লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি ছেলের পরিবার জানতো না। একপর্যায়ে মেয়ে দেখতে কেমন তহিদুল ইসলাম তার ছোট ভাইকে পাঠায়। কিন্তু মেয়েকে তার ভাইয়ের পছন্দ হয়নি। পরে মেয়ে তার বাবা-মায়ের পরার্মশে তহিদুল ইসলামকে চাপ দেয় তার পরিবারকে ম্যানেজ করার জন্য। এক পর্যায়ে ব্যাপক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে মেয়ে ছেলেকে বাধ্য করে বিয়ে করতে। বিয়ের সময় দেনাপাওনা নিয়ে কোনো কথা হয়নি।
তারপর শান্তা একদিন অনলাইন থেকে একটা গোল্ডের ছবি পছন্দ হয়েছে বলে তহিদের কাছে বায়না ধরে এই গোল্ড তাকে দিতে হবে তহিদের কাছে নিজের কোন টাকা ছিলো না তারপরও মেয়ে শান্তা বলে ঋণ নাও এখানে আসলে বিয়ের পর আমরা সব দিয়ে দিব।পরে যে কথা সে কাজ দুবাই গোল্ড স্কয়ার থেকে সাড়ে আট ভরি গোল্ড কিনে নেয় এবং দুবাই থেকে যাওয়ার একদিন পর বিয়ে হয় এবং বাসর /ফুলসজ্জা রাতে সাড়ে আট ভরি গোল্ড তাকে প্রদান করে।
তহিদুল ইসলাম বলেন, এরা একটি ভয়ংকর প্রতারক চক্র। তারা প্রবাসী ফ্লাটের টার্গেট করে জোরপূর্বক বিয়ে করিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে।তিনি আরো বলেন, তাকে ডিভোর্সের ভয় দেখিয়ে আরও অর্থ আত্মসাৎ করতে চায়। তারা সবকিছু পরিকল্পনা করেই আমার পিছনে লেগেছে। তহিদুল ইসলাম রাষ্ট্রের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেন।
তহিদুল ইসলাম আরো বলেন, বিদেশী ভালো চাকরি করে এবং মোটা অংকের ব্যবসায়ী কৌশলে ধরাশায়ী করা বাবা মাইনুদ্দিন দুলাল, মা নাছিমা বেগম ও মেয়ে সীমা আক্তার শান্তার নেশা ও পেশা।