কুড়িগ্রাম জেলার শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত ও শিশু—কিশোরদের কাছে মাদক বিক্রয় বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ন্যাশনাল চিলড্রেন’স্ টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) কুড়িগ্রাম শাখা পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
রবিবার দুপুরে এনসিটিএফ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সদস্য ও ইয়েস বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রুহুল আমীনকে এ স্মারকলিপি প্রদান করে।
এনসিটিএফ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মার্জিয়া মেধার স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, কুড়িগ্রাম জেলার সকল শিশুদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় জেলায় ঘটে যাওয়া শিশু ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন ও শিশু অধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানায়। ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার শিকার জীবিত শিশুদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করে। শিশু ধর্ষক, নির্যাতনকারী এবং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি,জেলাব্যাপী বাল্যবিবাহ ও মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করার দাবি জানায়।
শিশু ও যুব সমাজ ধ্বংসের মূল হাতিয়ার হলো মাদক। আর মাদকের শুরু হয় বিড়ি—সিগারেট দ্বারা। মাদকের গ্রহণের ১ম ধাপই হল বিড়ি/সিগারেট। এটি বন্ধ করা না গেলে আগামীর ভবিষ্যৎ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। কুড়িগ্রাম জেলায় সকল প্রকার দোকানে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা শিশুদের নিকট বিড়ি/সিগারেট বিক্রয় বন্ধ করতে নিদেশনা জারি সহ লিফলেট, পোষ্টার সাটানোর ব্যবস্থা করে, মাইকিং করে এবং এ ধরণের ঘটনা ঘটলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা শিশুদের নিকট বিড়ি/সিগারেট বিক্রেতার শান্তি প্রদান করতে হবে।
বাল্যবিবাহ, মাদক, শিশু নির্যাতন ও শিশু অধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবী জানায়, যাতে ভবিষ্যৎ কেউ শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করতে সাহস না পায়। এছাড়াও জেলার সকল স্কুল কলেজের গেইট ও আশেপাশের এলাকায় এমনকি অন্যান্য দোকানেও যাতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা শিশু—কিশোরদের নিকট বিড়ি—সিগারেট বিক্রয় করতে না পারে সেজন্য প্রচরণা ও আইনের প্রয়োগ নিশ্চিতসহ জেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উপস্থাপনের জোড় দাবি জানায়।
উল্লেখ্য,ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স জাতীয় পর্যায়ের একটি শিশু সংগঠন। শিশুদের দ্বারাই গঠিত ও পরিচালিত এই সংগঠনটি প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইয়েস বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ৬৪টি জেলায় শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছে।