লক্ষ্মীপুরে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার দিঘলী বাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন ভুক্তভোগী।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন চৌধুরী জাবেদ।
ভুক্তভোগি মোঃ আজগর হোসেন চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও দিঘলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতা আজগর হোসেন বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করে আসছি। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে থানা ছাত্রলীগে সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছি। বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ে কাজ করেছি। এলাকার অসহায় ও দুস্থদের নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেছি। এছাড়া উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন দপ্তর থেকে সরকারি সুবিধা নিয়ে দিয়েছি। দিঘলী ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাটসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছি। উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের নির্দেশে এলাকায় দলমত নির্বিশেষে সকলের বিপদে-আপদে পাশে থাকছি। নিরলসভাবে কাজ করছি দিঘলীতে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন বৃদ্ধিতে। নেতৃবৃন্দের সেই নির্দেশ পালন করাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন চৌধুরী জাবেদ হয়রানি ও সন্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্য আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমার জনপ্রিয়তায় ইর্সান্বিত হয়ে চেয়ারম্যান কাজটি করেছেন। তিনি শুধু মামলা করে নয় পরবর্তীতে একাধিক অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে কল দিয়ে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। চেয়ারম্যানের এসব কর্মকাণ্ডে আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কিত।
তিনি আরও বলেন, গত ২০১৫ সালে আমার বড় ভাই বাবরকে দিঘলী বাজার সংলগ্ন এলাকায় গুলি করে হত্যা করে। ওই মামলার আসামীরা এখন বিদেশে পলাতক রয়েছেন। সেই আসামীদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের ভাই বিদেশে বৈঠক করেছেন। মামলা থেকে তাদের অব্যহতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এজন্য সাক্ষী থেকে শুরু করে মামলা সংশ্লিষ্ট সকলকে তিনি ম্যানেজ করবেন। ওই বৈঠকের প্রমানাদি ও সাক্ষী আমার কাছে রয়েছে। ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান তার লোকদের দিয়ে ওই মামলার সাক্ষীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। যাতে তারা আদালতে গিয়ে সাক্ষী না দেয়।
আজগর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
অভিযোগগুলো অস্বীকার করে চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন চৌধুরী জাবেদ বলেন, মামলা যদি মিথ্যা হয় তাহলে সে আইনের আশ্রয় নিবে। আইন অপরাধীর বিচার করবে। আর সে এখনো ছাত্র তাকে প্রতিদ্বন্ধী কেন ভাববো।