লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার অন্তর্গত ৫নং চরপাতা একটি শান্তিপ্রিয় এলাকা। এলাকার সাধারণ জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অস্থিরতা,সাম্প্রদায়িকতা এবং হানাহানি প্রতীয়মান না হলেও ইদানিংকালে ইয়াবা, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং এবং অপহরনের মত অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলো এলাকার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠার সৃষ্টি করে।
এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে জানা যায় ৭নং ওয়ার্ডের জনৈক “মহিলা’ মুনাফার শর্তে ইয়াবা ডিলারদের অর্থ সরবরাহকারী সেই সাথে একজন গরু ব্যবসায়ী এই ইয়াবা সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তায় সহযোগিতা করেন। এছাড়াও নামে বেনামে অনেকে ইয়াবা ব্যবসা, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং এবং অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত। যারা কোন দলীয় পদ-পদবী না থাকলে ও এই ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কোন না কোন দলের পরিচয় বহন করে নিজেদের নিরাপদ রাখার চেষ্টা করে। এতে আরো জানা যায় কিছু স্থানীয় নেতারা ইয়াবা সেবন করেন এবং মাঝে মাঝে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু ইয়াবা পান এবং মুনাফার কমিশন পান বলে তারা চুপ থাকেন। নিম্নে কয়েকজন তালিকা ভুক্ত আসামির নাম উল্লেখ করা হলো।
নাম: মাসুম, পিতা: ফিরোজ আলম, বাড়ি: রুস্তম আলী ডাক্তার বাড়ি, ওয়ার্ড: ৭নং। বর্তমান ইয়াবা চক্রের মূল হোতা, ডিলার, সরবরাহকারী এবং মাদক সেবী। রায়পুর থানার তালিকাভুক্ত ফেরারি আসামী। তার অধীনে তৈরী হয়েছে কিশোর গ্যাং, অপহরন চক্র। অপহরনকারী রিপাত হাসান তারই সৃষ্টি।
নাম: রিপাত হাসান, পিতা: আব্বাস মোস্তান, বাড়ি: মোস্তান বাড়ি, ওয়ার্ড: ৯নং। কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা, ইভটিজার, মাদকসেবী এবং অপহরণকারী। ইদানিংকালে ঘটে যাওয়া ৭নং ওয়ার্ডের মুন্সিয়ার বাড়ির তানভীর, পিতা: হানিফ এর অপহরণ এই রিপাত হাসান এর নেতৃত্বেই ঘটে। যার মুক্তিপন দাবি করা হয় ১ কোটি টাকা। সে এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
নাম: রুবেল, জুয়েল এবং জীবন, পিতা: আহসান উল্লা (পাটওয়ারী), বাড়ি: উমর উদ্দিন পাটওয়ারী বাড়ি, ওয়ার্ড: ৭নং। এরা তিন ভাই। যারা যথাক্রমে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ইয়াবা সরবরাহকারী এবং সেবনকারী। এলাকার কোন মানুষ এদের এগুলোর জন্য বারন করলে তারা মিথ্যা মামলার হুমকি দেয়, রাজনৈতিক আশ্রয়ের মাধ্যেমে সামাজিকভাবে জিম্মি করে এবং হেয় পতিপন্ন করে। এই তিন ভাই এর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট ও ভীত সন্তষ্ট। ভয়ে কেউ এদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না।
নাম: হান্নান এবং শাকিল, পিতা: তোফায়েল (মুরব্বী), বাড়ি: গাজী বাড়ি, ওয়ার্ড: ৭নং। এরা দুই ভাই পুলিশ এর তালিকাভুক্ত ফেরারি আসামী, মাদক সেবনকারী, সরবরাহকারী এবং কিশোর গ্যাং এর সদস্য। এরা নতুন প্রজন্মকে মাদক সেবন ও ব্যবসায় উৎসাহিত করে। এলাকার মানুষ সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন হওয়ার ভয়ে এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে না।
নাম: কানা বাবু, পিতা: আব্দুল মজিদ, বাড়ি: মোল্লা বাড়ি, ওয়ার্ড: ৭নং। ইয়াবা ডিলার, সরবরাহকারী এবং সেবনকারী। পুলিশ এর তালিকাভুক্ত ফেরারি আসামী। তার হাত ধরেই পূর্ব চরপাতায় ইয়াবা ব্যবসায়ের বিস্তার লাভ করে।
এই বিষয়ে রায়পুর উপজেলার চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদের স্বাক্ষরীত একটি অভিযোগ পত্রে যথা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান। রায়পুর থানার ওসি মহোদয়ের কাছে উক্ত অভিযোগ পত্র টি হস্তান্তর করা হয়। সে সময় ওসি ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বিষয়টি আমলে নিয়ে যথা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।