
প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদার কতৃক “শিক্ষা” বলিদান।
শিক্ষার্থীদের অনুভূতি নিয়ে খেলা করছেন, শিক্ষার্থীদের অনুভূতি নিয়ে বাণিজ্য করছেন
শহীদ আলী আহম্মদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।তাদের সকলের চাওয়া বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করানো হোক।
কিন্তু প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদার তার ব্যক্তি স্বার্থের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাকে অগ্রাহ্য করে তার বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের সহযোগী শিক্ষক দ্বারা ইচ্ছামত পাঠদান করান
সরকারি নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে নিজের ইচ্ছামত বিদ্যালয় পরিচালনা করেন, এ যেন তার বাড়ি।
নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করানোর সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও তিনি তা করেন না
কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়….
যেসকল শিক্ষক তার বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের সহযোগী, তাদেরকে তিনি বিভিন্ন অবৈধ সুবিধা দেন
বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক দ্বারা পাঠদান না করানো এই অবৈধ সুবিধারই ফল
বাংলার শিক্ষক ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা ক্লাস নেয়
ইংরেজির শিক্ষক ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ইংরেজি ক্লাস নেয়
অথচ গণিতের বেলায় ব্যতিক্রম
কারণ প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদারের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের সহযোগীরা গণিত পাঠদান করিয়ে প্রাইভেট বাণিজ্য করতে পারে, এজন্য তাদেরকে দ্বারা গণিত পাঠদান করানো হয়
অথচ নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করানোর সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর
প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদারের আর্থিক অনিয়মসমূহ:
১) সাইন্সল্যাবের মালামাল ক্রয়ে অনিয়ম
প্রতিবছর ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকে সাইন্সল্যাবের জন্য। কিন্তু তিনি বিগত ৫ বছর যাবৎ কোন মালামালই ক্রয় করেন নি বললেই চলে।
২)কম্পিউটার ল্যাবের মালামাল ক্রয়েও অনিয়ম,
শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে কোন কম্পিউটার শিক্ষা দান করানো হয় না, অথচ প্রতিমাসে তাদের নিকট থেকে কম্পিউটার ফি নেওয়া হয়
৩) অযাচিতভাবে টিফিন ফি আদায় করা হয়
৪০০ শিক্ষার্থীর নিকট থেকে বিগত ৫ বছরে এভাবে অযাচিতভাবে কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করেছেন অলোক কুমার তরফদার
এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সহ জাতীয় অনুষ্ঠানে বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করেন নি
অতি পরিতাপের বিষয় এই যে, তিনি আবুল নামক এক সুইপারের বেতনের টাকা না দিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ
এসব অনিয়মের মূল সহযোগী নবকৃষ্নমন্ডল(ব্যবসায় শিক্ষা, জীবন-জীবিকা ট্রেনিংপ্রাপ্ত)।একারনে তার দ্বারা গণিত বিষয়ের পাঠদান করিয়ে প্রাইভেট বাণিজ্যের পথ সুগম করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদার
অপরদিকে সাইন্সল্যাবের মালামাল ক্রয়ে ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষকের সাক্ষর প্রয়োজন। এ কারনে তার দ্বারাও গণিত বিষয়ের পাঠদান করিয়ে প্রাইভেট বাণিজ্যের পথ সুগম করে দিয়েছেন অলোক কুমার তরফদার
এতে করে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক দ্বারা পাঠদান পাচ্ছে না।ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নতুন কারিকুলাম তাদের কাছে এক হতাশার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে
প্রধান শিক্ষকের এ অনিয়মের কারণে নতুন কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের নিকট এক আতঙ্ক।
অভিভাবকদের অভিযোগ…. পরীক্ষায় খারাপ করানোর কারনে কোন শিক্ষার্থী যদি আত্মহত্যার মত পথ বেছে নেয়, এ দায়ভার কি প্রধান শিক্ষক নেবে?
এজন্য তারা শিক্ষার্থীবান্ধব প্রধান শিক্ষক চাই
তাছাড়া স্কুলের সামনে প্রায়ই বখাটে ছেলেদের আনাগোনা দেখা যায়, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কোন পদক্ষেপ নেয় নি।
তিনি বলেন এটা স্কুলফটকের বাইরের বিষয়।
মুমতাহিনা মুক্তি দীর্ঘদিন এই স্কুলে চাকুরি করায় অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীদের নানাবিধ ভয় দেখিয়ে জীম্মি করে রাখেন যাতে করে তার প্রাইভেট বাণিজ্য রমরমা থাকে।
উপবৃত্তির ভয় দেখান, উপবৃত্তির ক্ষেত্রে অনেক কারসাজি করেন বলে অভিযোগ আছে।
শ্রেনী শিক্ষকের ভয় দেখান
শ্রেণী শিক্ষকই সব, এই বলে বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করেন।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে পক্ষপাতিত্ব করেন।
তার কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া বাচ্চাদের সবসময় এগিয়ে রাখেন।
সম্প্রতি অভিভাবকদের যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের টি.সি দেওয়ার হুমকি দেন।শিক্ষার্থীরা নবকৃষ্ণ মন্ডল ও মুমতাহিনা মুক্তির বুলিং এর শিকার বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে
এসব ঘৃণ্য কাজ করার সাহস পান প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদারের সহায়তায়।
প্রধান শিক্ষক অলোককুমার তরফদার শিক্ষকদের ভেতর সৃষ্টি করেছেন বিভাজন।
সম্প্রতি শিক্ষানুরাগী, সচেতন অভিভাবকবৃন্দ বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক দ্বারা পাঠদানের ব্যাপারে ইউ.এন.ও মহোদয়ের নিকট আবেদন জানায়।
শিক্ষার্থীবান্ধব, শিক্ষানুরাগী ইউ.এন.ও মহোদয় উক্ত আবেদনের তদন্তভার উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব ফিরোজ আহম্মদের উপর ন্যাস্ত করেন।কিন্তু ফিরোজ আহম্মদ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগসাজ করে প্রধান শিক্ষকেরএই অনিয়মকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পর পর দুইবার তদন্তের শুনানির তারিখ পরিবর্তন করে এখনও বিভিন্ন টালবাহনার আশ্রয় নিচ্ছে।
শিক্ষায় জাতির মেরুদণ্ড
আমরা তালাবাসী আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতকে নষ্ট হতে দিব না,আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব প্রধান শিক্ষক চাই।
শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ