নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মোঃ গোলাম রব্বানী।
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে কাঠের তৈরী খেলনা।এতে যেমন ঐতিহ্য হারাচ্ছে এ শিল্প,তেমনি খেলনা বানানো এ পেশা থেকে অন্য পেশায় যাচ্ছেন কারিগররা । বিক্রি আর চাহিদা কম থাকায় কোনমত পেট চলে এ কারিগরদের। পহেলা বৈশাখ বা পূজা-ঈদে কিছুটা চাহিদা বাড়ে এসব কাঠের খেলনার।এছাড়া প্লাস্টিকের তৈরী খেলনার ভিড়ে যেন পূর্ণতা পায়না কোন দোকানে।
এসব কাঠের খেলনা তৈরী হয় নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাঙ্গালিপুরে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আগেকার সময় প্রায় কয়েকশত মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন এ পেশায়।কালের বিবর্তনে আজ অন্য পেশায় যাচ্ছেন কারিগররা। কাঠ,রং,বাঁশের বাদা দিয়ে ট্রাক,রিক্সা, ঢোলসহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরী করা হয়।বাড়ির নারী ও কিশোরীরা কাঠিতে রং লাগানো ও কাগজে আলপনা আঁকার কাজ করছেন।কেউ কেউ আবার কাটের গাড়িতে রং করছেন।তবে বিশেষ সময় ছাড়া বিক্রি হয়না এসব কাঠের খেলনা তাই এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে।
খেলনা তৈরীর কারিগর সেলিম উদ্দিন জানায়, আমার বাপ দাদা এ পেশায় ছিলেন তাই আমি এসব করছি।ঈদ পূজা ছাড়া এসব খেলনা বিক্রি হয়না। এখন প্লাস্টিকের কারনে খেলনার চাহিদা খুবই কম।খেলনা তৈরী করে কোন মত আমাদের সংসার চলে। গ্রামবাংলার এসব খেলনা কেউ নিতে চায় না। আগে দিনে কমপক্ষে ১ হাজার খেলনা বিক্রি হতো। এখন পুরো বছরজুড়ে ১৫ হাজার বিক্রি হয় না। আমাদের সরকারি ভাবে সহায়তা করলে আমরা এ পেশা টিকে রাখতে পারব ৷
সেলিম উদ্দিনের বউ নাসিমা বেগম বলেন,আমি বাড়ির কাজ করার পাশাপাশি এখানে এসে কাজ করি। আমি বিয়ে হয়েছে ২০ বছর আগে তখন থেকে এসব কাজ করি।আমাদের এখানে বিক্রি খুব হয়।বিক্রি না থাকায় কোনমত সংসার চলে।
এবিষয়ে সৈয়দপুর পৌরমেয়র রাফিয়া জাহান বেবি বলেন,আমাদের যদি এমন বরাদ্দ আসে তাহলে তাদের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।
সহকারী প্রকৌশলী (বিসিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সৈয়দপুরের শিল্পনগরী কর্মকর্তা জনাব মশিউর রহমান বলেন, আমরা তাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করব। আমাদের অফিস থেকে বিভিন্ন সময়ে তাদের সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- মোঃ আবির ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক:- জামিল চৌধুরী
বার্তা সম্পাদক:- আরিফুল ইসলাম
হেড অফিস: ৪৭,পুরানো পল্টন আরবান পল্টন ভিউ কমাশিয়াল কমপ্লেক্স (৫ম তলা)
নিউজ মেইল: dainikprothombarta@gmail.com
যোগাযোগ: ০১৬৪৩-০৩১৩৭২/০১৮৬৮-৮৪৫৫৯৬
দৈনিক প্রথম বার্তা কর্তৃপক্ষ
Design And Develop By Coder Boss