শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন

ওসির নির্দেশ বাড়ী বিক্রি করে টাকা দিতে হবে– তার নির্দেশে পরিবার সহ সাংবাদিক এর নামে মামলা

  • Update Time : রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪
  • ২৩২ Time View

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ-

রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানায় এমন একটি বিরল ঘটনা ঘটেছে যাহা পুলিশ বাহিনীর ক্রমাগত ক্ষুন্ন হতে চলেছে এখনই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পুলিশ নামধারী এসব মানুষের জন্য প্রশাসন এবং সরকারের দুর্নাম হয়ে বেড়াতে হবে।

সরজমিনে ঘুরে জানা যায়- বৃদ্ধ রাজ্জাক এবং রোকেয়া ছোট ছেলে স্বপনের সাথে প্রেম করে ২০০৫ সালে বিয়ে করেন নাজনীন আক্তার (৩০)।

তারা বিয়ের পর হুজুর পাড়া ভাড়া থাকতেন বিয়ের পর প্রায় সময় স্বপনের সাথে ঝগড়া হতো নাজনিনের ২০২১ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি তারিখে তারা খবর পায় তার ছেলে স্বপন মারা গিয়েছে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন তার স্বপনের লাস ঘরের ফ্লোরে পড়ে আছেন– মাথা ফাটা- রক্ত ঝড়ছে। তখন নাজনিন পুলিশকে জানায় মেঝেতে পড়ে মারা গিয়েছে।

পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠালে তারা ময়নাতদন্ত না করে ঢাকা মেডিকেল থেকে লাশ নিয়ে আসে নাজমিন সবাইকে বলে লাশ ব্যথা পাবে কাটা যাবে না এবং ভুল বুঝিয়ে স্বপনের ভাই রিপন ও জেসমিন এ স্বাক্ষর নেয়,

স্বপনের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে নুরিয়া কবরস্থানে দাফন করে।

বিভিন্ন মানবিক দিক এবং দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে- রাজ্জাক সাহেব নাজমিন নাতিনদের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং থাকতে দেয়, তারপর থেকেই শুরু হয় শ্বশুর শাশুড়িসহ বাড়ির অন্যান্যদের প্রতি নির্যাতন নিপিড়ন,
নাজনীন সবাইকে মারধর করে এবং বাড়ি বিক্রি করে তার শ্বশুরকে টাকা দিতে বলে, বিগত ১০/০২/২৪ ইং তারিখ নাজমিন আট/দশ জন ভাড়াটিয়া মহিলা নিয়ে তার ছেলে শিশির সহ বাড়ির সবাইকে মারধর করে তালাবদ্ধ করে (ভিডিও ফুটেছে তুলে ধরা হলো) থানার ওসি রুমে গিয়ে বসে থাকে- পরে পুলিশ গিয়ে তাদের সবাইকে তালা ভেঙে উদ্ধার করে বলে জানা গিয়েছে।

মৃত স্বপনের পরিবার জানান, কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি আলাউদ্দীন সাহেবকে মারধরের ভিডিও দেখাইলে উনি কোন মামলা নেয় নি। ডিসি অফিসে অভিযোগ করলেও- কামরাঙ্গীরচর থানার এ এস আই ঘটনার সহিত জড়িত থাকায় আরো দুইজন সোর্স দেলোয়ার,টেইলার্স টিটু জড়িত থাকায় ওসি সাহেবকে ডিসি মহোদয় সমাধানের কথা বললেও তিনি সমাধান না করে রাজ্জাক সাহেবকে বাড়ি বিক্রি করে নাজমিনকে টাকা দিতে বলে এবং এএসআই জিয়াউর রহমান বলে পাঁচ লাখ টাকা দিলে নাজমিন বাড়ি থেকে চলে যাবে।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় কামরাঙ্গীরচর থানার এএসআই জিয়াউর এর সাথে স্বপনের বউ নাজনীনের গভীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বিভিন্ন দিক চিন্তা করে তার শ্বশুর-শাশুড়ি নাজমিনকে তার দুই সন্তানসহ বাড়িতে থাকতে দেয় তারপর থেকে বাড়িতে আনাগোনা শুরু হয় জিয়া সহ তার সোর্সদের।

তাদের বাধা দিলেই বৃদ্ধ কে দেওয়া হয় বিভিন্ন মামলার হুমকি, তাদের পরামর্শ নিয়ে নাজনীন কোটে গিয়ে শ্বশুর শাশুড়ি এবং সাংবাদিকের নামে মামলা করেন- সি আর মামলা নং ৬০/২৪ তাং ১৩/০৩/২৪ বিজ্ঞ এম এম আদালত কামরাঙ্গীরচর আমলি ঢাকা। রাজ্জাক ও তার পরিবার মানবাধিকার সংগঠন-থানা- আদালত কোথাও বিচার না পেয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন। তাই এই বিষয়ে নির্যাতিত পরিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,পুলিশ প্রদান এর নিকট প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চায়।

এই বিষয় কামরাঙ্গীরচর থানা ওসি সাহেবের সাথে কথা বলার জন্য তার মোটো ফোনে কল দেওয়া হলে তার নম্বরটি বন্ধ ছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102