
নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্তমানে কিছু কিছু জায়গায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদ করা হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে ঘাটতিকালীন সময়ে যোগান দেওয়া যাবে না , তবে কিছুটা ঘাটতি পূরণ করা যাবে।
ছাদ বাগানে পেঁয়াজ চাষ:
ছাদ বাগানে ১ মিটার x ০.৬ মিটার আকারের ৪ টি ট্রেতে ৭০-৮০ দিন পর ২.৫-৩.০ কেজি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব। এ ছাড়া টবের পেঁয়াজ চাষ করা যায়।
প্রথমে জৈব সার মিশ্রিত বেলে দোআঁশ মাটি দিয়ে টব ভর্তি করে দিন।
টবে মাটির মধ্যে আঙুল দিয়ে গর্ত করে নিন। ওই গর্তে পেঁয়াজের বীজ ঢুকিয়ে দিন। এর উপরে গুঁড়ো মাটির হালকা আস্তরণ দিন। এবার হালকা হাতে অল্প পানি ছিটিয়ে দিন। এবার সূর্যের আলো লাগে এমন জায়গায় টবটি রাখুন।
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের প্রতিটি পরিবার নিজেদের বার্ষিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করেও আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।
বসতবাড়িতে পেঁয়াজ চাষ:
বসতবাড়ির আশেপাশে মাত্র ৫ মি. x ২মি. (১০ হাত x ৪ হাত) পরিমাণ জায়গা থাকলে একই জমিতে ফেব্রুয়ারি (মাঘ) মাসে চারা রোপণ করে ১৫-২০ কেজি, জুন (জ্যৈষ্ঠ) মাসে চারা রোপণ করে ১৫-২০ কেজি এবং সেপ্টেম্বর মাসে চারা রোপণ করে ২০-২৫ কেজি ফলন পাওয়া যায় এ হিসাবে ৫ মি.x২ মি. জমিতে সারা বছর বারি পেঁয়াজ ৫ জাতের চাষ করে সর্বমোট ৬০-৬৫ কেজি ফলন পাওয়া যায়।
বারি পেঁয়াজ-৫ জাতটি বসতবাড়ি এবং ছাদবাগানেও ভাল হয়। এটি গ্রীষ্মকালে চাষের উপযোগী স্বল্প সময়ের ফসল। এছাড়াও এটি সারা বছরব্যাপী চাষ করা যেতে পারে। এ পেঁয়াজ গাঢ় লালচে বর্ণের চেপ্টা, গোলাকার ও কম ঝাঁঝযুক্ত। প্রতিটি গাছ ৫৫-৬০ সেমি উঁচু ও ১০-১২টি পাতা থাকে। প্রতিটি পেঁয়াজের ওজন ৬০-৭০ গ্রাম হয় ও ব্যাস ৫ সেমি. বীজ বপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত ৯৫-১১০ দিন সময় লাগে।