
মো:আমিনুল ইসলাম (কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি):-
আদিবাসী নারীর ক্ষমতায়ন এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাদের অবস্থান নিয়ে….
মূলধারার নারীর ক্ষমতায়ন বনাম আদিবাসী নারীর বাস্তবতা: মূলধারার নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনায় প্রায়শই বিভিন্ন পরিচয়ের নারীদের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রাম বাদ পড়ে যায়।
আদিবাসী নারীদের লড়াই বহুমাত্রিক: তাদের নিজস্ব সমাজের পুরুষতন্ত্র এবং বৃহত্তর সমাজের পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে।
আদিবাসী হওয়ার কারণে রাষ্ট্রীয় পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাথে তাদের সংগ্রাম আরও কঠিন হয়।
আদিবাসী নারীর ঘর কীভাবে ছোট হয়ে আসে:
জমি দখল ও উচ্ছেদ: আদিবাসীদের জমি দখল ও উচ্ছেদের ফলে তাদের বিচরণস্থল ও জীবিকা সংকুচিত হচ্ছে।
পুরুষতন্ত্রের উত্থান: বৃহত্তর সমাজের প্রভাবের ফলে আদিবাসী সমাজে পুরুষতন্ত্রের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিরাপত্তাহীনতা: বাঙালি সেটেলারদের আগমনের ফলে আদিবাসী নারীদের নিরাপত্তায় ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
সামাজিক রীতিনীতি: আদিবাসী সমাজের ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি নারীদের সম্পত্তির অধিকারে বাধা সৃষ্টি করে।
মূলধারার সমাজের অসচেতনতা: আদিবাসী নারীদের সংকট সম্পর্কে মূলধারার সমাজের অসচেতনতা তাদের ক্ষমতায়নের পথে বাধা।
আদিবাসী নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
আইন ও নীতিমালা: আদিবাসী নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
সচেতনতা বৃদ্ধি: আদিবাসী নারীদের সংকট সম্পর্কে মূলধারার সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি: আদিবাসী নারীদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
সামাজিক রীতিনীতির পরিবর্তন: নারীদের সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতির পরিবর্তন।
আদিবাসী নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য একটি বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন। তাদের অধিকার রক্ষা এবং সমাজের সমান অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।