শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

ডোমারে কাব ক‍্যাম্পুরী ও স্কাউট সমাবেশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন।

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৮ Time View

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মোঃ গোলাম রব্বানী।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে স্কাউটিং” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে নীলফামারীর ডোমারে ৮ম উপজেলা কাব ক্যাম্পুরী ও স্কাউট সমাবেশে ২০২৪ইং উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৭ই মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টায় শহীদ রুমী স্কাউট পল্লী থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন ৮ম উপজেলা কাব ক্যাম্পুরী ও স্কাউট সমাবেশের সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বিপিএএ।
তিনি জানান, ১৯০৭ সালের ০১ আগষ্ট লন্ডনের বাউন্সি দ্বীপে ২০ জন বালক নিয়ে প্রথম পরিক্ষা মূলক ক্যাম্পের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী স্কাউট আন্দোলন যাত্রা শুরু করে। শিশু,কিশোর কিশোরী, যুবক, তরুণ-তরুণীদের শারীরিক,মানসিক,নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সামাজিক গুণাবলী উন্নয়নের মাধ্যমে তাদেরকে পরিবার, সমাজ,দেশ তথা বিশ্বের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় স্কাউটিং এর অবদান আজ সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
২০০৭ সালে স্কাউট আন্দোলন শতবর্ষে পদার্পন করেছে। স্কাউট সমাবেশ একটি নিয়মিত বার্ষিক আয়োজন, এর মাধ্যমে স্কাউটরা একে অপরের সাথে ঘনিষ্টভাবে মেশার সুযোগ পায় এবং তাদের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের জন্ম নেয়, শিশু কিশোররা তাদের ঞ্জান,দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গির উন্মেষ, শারীরিক,মানসিক, মানবিক, নৈতিক ও নান্দনিক বিকাশ সাধন করে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্ধুদ্ধ হয়। এই লক্ষ্যে ০৭ থেকে ১০ মার্চ ডোমারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “৮ম ডোমার উপজেলা কাব ক্যাম্পুরী ও স্কাউট সমাবেশ ২০২৪ইং। স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার স্তম্ভ হবে ৪টি যথাঃ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি।
২০৪১ সাল নাগাদ সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, ঞ্জানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। ৮ম কাব ক্যাম্পুরী ও স্কাউট সমাবেশে ৫১ টি দল অংশগ্রহণ করেছে, এর মধ্যে কাব দল ৩০টি এবং স্কাউট দল ২১টি, আগামী ০৮ মার্চ বিকেলে সমাবেশের উদ্বোধন করবেন নীলফামারী-০১ ডোমার-ডিমলা আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার।
তিনি আরও বলেন, এবারের সমাবেশের নামকরণ করা হয়েছে শহীদ রুমী স্কাউট পল্লী। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শাফী ইমাম রুমী (বীর বিক্রম) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এক দূর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা। তিনি শহীদ জননী খ্যাত জাহানারা ইমাম দম্পতির জ্যেষ্ঠ পুত্র। তুখোড় মেধাবী রুমী যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়ার সুযোগ পেলেও দেশে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় আদর্শগত কারণে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য পড়তে যাননি তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ক্রাক প্লাটুনের একজন সক্রিয় সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অসীম সাহসীকতা প্রদর্শন করেন। রুমীর পৈতৃক বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার খাটুরিয়া গ্রামে, ১৯৭১ সালের ২৯ আগষ্ট তিনি পাক বাহিনীর হাতে আটক হন, সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করেও তিনি তার কোন সহযোগীর নাম বলেননি পাক হানাদার বাহিনীর কাছে।
পরিশেষে তিনি আরও জানান, রুমীর জন্মদিনে জাহানারা ইমাম ও শরীফ ইমাম আর্শীবাদ লিখেছিলেন ‘বজ্রের মত হও,দীপ্ত শক্তিতে জেগে ওঠ,দেশের অপমান দূর কর,দেশবাসীকে তার যোগ্য সন্মানের আসনে বসাবার দুরূহ ব্রতে জীবন উৎসর্গ করো” শহীদ শাফী ইমাম রুমী তাই করে গেছেন। আমরা আশাকরি “শহীদ রুমী স্কাউট পল্লী”তে অংশ গ্রহণকারী প্রতিটি কাব ও স্কাউট সদস্য রুমীর মত সাহসী, দেশপ্রেমী ও আত্মত্যাগী হবে এবং বিশ্বমঞ্চে সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ হিসাবে অধিষ্ঠিত করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102