আরিফ হোসেন রুদ্র , উপজেলা প্রতিনিধি রায়পুর।
আমি নির্বাচিত হলে স্মার্ট, মডেল, ডিজিটাল ইউনিয়ন পরিষদ গড়ে তুলবো, নির্বাচনের আগে ভোট আদায় করতে এমন স্লোগান দিয়েছেন ৫ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মামুন । কথা দিয়ে তিনি কথা রেখেছেন ।সৌন্দর্যে মন্ডিত আর সেবার মানের দিক দিয়ে ইতি মধ্যেই স্মাট চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে পরিচিতি অর্জন করছে রায়পুর উপজেলার ৫ নং চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদ।
মাদক, বাল্য বিবাহ, হয়রানি মুক্ত একটি মডেল ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সুলতান মামুনুর রশিদ।
ঝরাজীর্ণ পরিষদকে নিজের অর্থায়নে গড়ে তুলছেন রুচিশীল আধুনিক ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে। সাধারণ মানুষের দ্রুত সেবা প্রাপ্তির লক্ষে তৈরী করেছেন অনুসন্ধান হেল্প ডেস্ক, জন্ম নিবন্ধন, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, ভাতা, মামলা থেকে যে কোন সহযোগীতা করা হয় হেল্প ডেক্স বা অনুসন্ধান ডেস্কে নিয়োজিত থাকা ১ জন গ্রাম পুলিশ এবং ২ জন কর্মি। তাদের বেতনও প্রদান করেন চেয়ারম্যান নিজের অর্থায়নে। যে কেউ আসা মাত্র ২/৩ মিনিটেই সকল কার্য সম্পাদন করেন নিয়োজিত কর্মিরা।
গ্রাম আদালতের এজলাসে প্রবেশ করলে মনে হবে যেন নামি দামী কোন গেস্ট হাউজের সাজানো গোচানো রুম। উন্নত মানের ইন্টোরিয়ার ডিজাইনে সাজানো হয়েছে এজলাস, সিসি ক্যামেরা, প্রথম দেখাই মন জুড়াবে যে কারো।
পরিষদের বাহিরে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান, পানি নিষ্কাশনের জন্য চার পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান, ভেতরে প্রবেশ ধারে চলছে ফুল বাগান এবং গোল ঘরের কাজ, পুরো পরিষদের আশপাশ সিসি ক্যামরা নিয়ন্ত্রিত, ইউপি সদস্যদের বৈঠক খানা, সচিবের রুম, সেবা নিতে আসা অসুস্থ্য মানুষ বসার জন্য রাজকীয় চেয়ার, পুরো ভবন ইন্টোরিয়র ডিজাইনে মনে হবে এটি কোন সাধারন কোন পরিষদ নয় যেন রাজকীয় প্রাসাদ। প্রতিটি রুমে সেট করা হয়েছে ইন্টার টেলিফোন। জরুরী আলাপের মাধ্যমে কারেন্ট সেবার আরেকটি নজির দেখা গেলো এই ইউনিয়ন পরিষদে।
চেয়ারম্যানের রুমে ইন্টোরিয়র ডিজাইন মন কাটবে যে কারো, রুচিশীল আর আধুনিকতায় মোড়ানো পরিষদটি দেখতে প্রতিনিয়ত পরিষদে আসে আশপাশের দর্শনার্থীরা। উন্নয়ন কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে এটিই হবে দেশের শ্রেষ্ঠ একটি আধুনিক ইউনিয়ন এমনটাই দাবী করছেন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যরা।
সরকারি খরচের বাহিরে ১ টি টাকাও যেন মানুষের কাছ থেকে না নিতে পারে সেজন্যও সজাগ প্রতিটি সদস্য, গ্রাম পুলিশ, সচিবসহ সবাই। সেবার জন্য আসা প্রত্যেক নাগরিককে হাসি মুখে সেবা প্রদানে আন্তরিক সকলে যেন এই পরিষদের জন্য কাজ করছেন সারাক্ষণ, নিজ অর্থায়নে এসকল কাজ করতে চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খরচ করেছেন ।
ইউপি সদস্য হিমেল মাহমুদ রাজু বলেন, আমাদের ভাগ্য ভালো এমন একজন যোগ্য চেয়ারম্যান পেয়েছি তিনি এসেই পরিষদের রূপ বদলে দিয়েছেন । তিনি পরিষদের সকল কাজ নিজ অর্থায়নে করে যাচ্ছেন, আমরা তাকে নিয়ে গর্ববোধ করছি। এমন মডেল ইউনিয়ন দেশে আর একটি আছে কিনা আমাদের জানা নেই।
সেবা নিতে আসা জনসাধারণ বলেন, সুলতান মামুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর ইউনিয়ন পরিষদ আমরা নিজ চোখে দেখতে পারছি, অনুসন্ধান ডেস্ক করায় আসা মাত্রই আমরা সেবা পাচ্ছি, বসার জায়গা আছে, সাদা পানি হালকা নাস্তারও ব্যবস্থা করেন চেয়ারম্যান এমন দৃষ্টান্ত আর কোথাও নেই।
৫ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, দীর্ঘ বছরেও ইউনিয়ন পরিষদ অনেকেই চিনতো না, ভেতরে প্রবেশ না করলে বুঝতে পারতনা । আমি নির্বাচিত হবার পর ইউনিয়ন পরিষদ ছিলো ঝরাজির্ণ এবং ব্যাবহারের অনুপযোগী নিজের অর্থায়নে পুরো পরিষদের চিত্র পাল্টে দিয়েছি। এখনো অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান এসকল কাজ শেষ হলে এটিই হবে দেশের শ্রেষ্ঠ একটি মডেল ইউনিয়ন, শুধু পরিষদই নয় ইউনিয়নের সকল সড়ক সংস্কার, নির্মান পূনির্মাণ কাজ চলমান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ এখনো বহু উন্নয়ন কাজ খুব শিগ্রই শুরু হবে। চারিত্রিক সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধনসহ সকল কাগজ পত্র উন্নত করা হয়েছে যাতে বহুদিন সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারে। সম্মান বজায় রাখতে প্রতিটি কাগজই দেয়া হয় খামের মাধ্যমে।
সেবা এবং উন্নয়নে আগামি ২/৩ বছরের মধ্যে চরপাতা ইউনিয়ন হবে দেশের শ্রেষ্ঠ আধুনিক, স্মার্ট এবং দৃষ্টি নন্দন একটি ইউনিয়ন পরিষদ এমনটাই মনে করেন এলাকাবাসী।