নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মোঃ গোলাম রব্বানী।
বস্তায় কেন আদা চাষ করবেন
>বসতবাড়ির অনাবাদি পতিত ছায়াযুক্ত জমিতেই বস্তায় আদা চাষ করা যায়।
>বস্তায় আদা চাষের জন্য আলাদা করে জমির দরকার হয় না।
>অতিবৃষ্টি বা বন্যায় আদা ডুবে নষ্ট হয় না।
>বস্তায় আদা চষে খরচ কম।
>রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম।
>এই পদ্ধতিতে একদিকে যেমন মাটিবাহিত রোগের আক্রমণ অনেক কমে যায়, অন্যদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে বস্তা অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
>বাড়ির উঠোন, প্রাচীরের কোল ঘেঁষে বা বাড়ির আশেপাশের ফাঁকা জায়গা অথবা ছাদে যেখানে খুশি রাখা যায়।
▶️চাষ পদ্ধতি
➡️মাটি প্রস্তুত:
একটি বস্তায় ৩ ঝুড়ি মাটি, ১ ঝুড়ি বালি, ১ ঝুড়ি গোবর সার ও দানাদার কীটনাশক ফুরাডান ৫জি ২৫ গ্রাম নিতে হবে। মাটির সঙ্গে গোবর, বালি ও ফুরাডান ভালোভাবে মিশিয়ে বস্তায় ভরে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। সম্ভব হলে বস্তার মাটি যাতে নরম থাকে সেজন্যে ভার্মিকম্পোস্ট/গোবর ও ছাই মেশাতে হবে।
➡️বীজ শোধন:
আদার কন্দ লাগানোর আগে কার্বোডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম হারে নিয়ে শোধন করে নিতে হবে। শোধনের পর কন্দগুলো একঘণ্টা ছায়ায় রেখেঈ শুকিয়ে নিতে হবে।
➡️আদার কন্দ রোপন:
মাটি তৈরি হয়ে গেলে বস্তায় রোপনের জন্যে ৭৫ গ্রামের একটি কন্দ রোপন করতে হবে।
➡️বস্তায় আদা চাষের সময়:
মে-জুন মাসে বস্তায় আদা চাষের উপযুক্ত সময়
➡️সার প্রয়োগ:
চারা লাগানোর দুই মাস পরে পরিমান মতো সরিষার খোল, ইউরিয়া টিএসপি, এমওপি সার মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে।
➡️উত্তোলন:
ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে তোলা যায়। একেকটি বস্তায় এক কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যায়।