আরিফ হোসেন রুদ্র,
রায়পুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে সত্তোরোদ্ধ এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা ও তার মেয়েকে শ্লীলতা হানির অভিযোগ উঠেছে।
বৃদ্ধের নাম লুৎফুর রহমান প্রকাশ লুতা মিয়াজি(৭০)। তিনি দেনায়েতপুর গ্রকমের মিয়াজী বাড়ির মৃত খোরশেদ আহম্মেদ মিয়াজি ছেলে। তাঁর মেয়ে নিশু (৩৫)।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, একই বাড়ির ফিরোজ মিয়াজী ও ইসমাঈল মিয়াজির পরিবারের সাথে লুতা মিয়াজির পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত শত্রুতা চলে আসছে। লুৎফুর রহমান মিয়াজী ফিরোজ মিয়াজির বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১১ তাং ২১/০২/২০১৭ ধারা ৩২৬। সেই মামলায় ফিরোজ মিয়াজির দুই ছেলে রায়হান ও রিমন এর সাজা হয়।
সেই সুত্রে তাদের শত্রুতা চরম পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধা ৬ টায় একটি বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ লুৎফুর রহমান এর মাথা ফেটে যায় এবং শরিরের বিভিন্ন অঙ্গ থেৎলে যায়। এ গঠনায় লুৎফুর রহমান ও তার মেয়ে নিশু রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। লুৎফুর রহমানের মাথায় ৩ টি সেলাই দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে লুৎফুর রহমান বলেন, আমার জায়গায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনে বিদ্যূৎকর্মীদের আমি বাধা দেই। এতে বিনা উস্কানিতে হান্নান(৫০) পিতা: মৃত মফিজ মিয়াজি, ফিরোজ(৫৫) পিতা: মৃত মফিজ মিয়াজি, ইসমাইল(৪৫) পিতা: মৃত ছবুল্লা মিয়াজি, রায়হান পিতা: ফিরোজ, খুকি
স্বামী: ইসমাইল, রুপা: পিতা ইসমাইল, কাজল: স্বামি : ফিরোজ, লিমন পিতা: মন্নান আমার উপর দা-চেনি, লোহার রড নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়, তাদের দায়ের কোপে আমার মাথা কেটে যায়, তারা আমার পুরো শরীরে রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। আমার শোর চিৎকারে আমার মেয়ে নিশু আমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তারা আমার মেয়ের শ্লীলতা হানি করে। এক পর্যায়ে আমার মাথার রক্তক্ষরনে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আশপাশের লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করায়। আমি আইনের আশ্রয় নিবো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রায়হান, ফিরোজ, খুকি ও রুপাকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, আমাদের জায়গায় আমরা বৈদ্যূতিক পিলার স্থাপন করতে গেলে, লুৎফুর রহমান আমাদেরকে বাধা দেয়। এতে আমরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ি। আমাদেরও চারজন আহত হয়, তাদেরকে আমরা সরকারী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করে বাড়িতে আসি। লুৎফুর রহমান এর মাথা ফাটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, অন্ধকারে কে বা কারা ফাটিয়েছে, সেটি আমরা খেয়াল করিনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান রিজভী বলেন, গঠনাটি জেনেছি, আহতদেরকে হাসপাতালে দেখে এসেছি।
এ ব্যাপারে রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিন ফারুক মজুমদারকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি, করলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।