নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মোঃ গোলাম রব্বানী।
জাব পোকা মরিচের মারাত্নক ক্ষতি করে। মরিচের পাতা, ফুল, কচি ফল ও ডগার রস চুষে খায়। এতে মরিচের ফলন নিয়ে হতাশ হন চাষিরা । তাই মরিচের ভালো ফলন পেতে হলে জাব পোকাসহ বিভিন্ন পোকার দমন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।
মরিচের জাব পোকা:
পরিচিতি:
জাব পোকা অতি ছোট, দেহ নরম ও উজ্জ্বল কাল রংয়ের হয়ে থাকে। পাখাওয়ালা জাব পোকা উড়তে পারে কিন্তু নিম্ফ বা পাখা বিহীন উড়তে পারে না । এরা দল বদ্ধ ভাবে বাস করে।
কারণ: র্পূনাঙ্গ ও নিম্ফ (বাচ্চা) পাতা, ফুল, কচি ফল ও ডগার রস চুষে খায়। অধিক আক্রমণে গাছের বাড়তি কমে যায় এবং ফলন কম হয়। এ পোকা ভাইরাস রোগ ছড়ায়।
ক্ষতির লক্ষণ:
১. পূর্নাঙ্গ ও নিম্ফ পাতা, ফুল কচি ফল ও ডগার রস চুষে খায়।
২. পাতা কুঁকড়ে যায়, গাছের বৃদ্ধি ও ফুল, ফল ধারণ বাধাগ্রস্থ হয়
৩. এ পোকা থেকে নি:সৃত মধুরসে কালো শুটি মোল্ড ছত্রাক জন্মায়।
পোকা দমন ব্যবস্থাপনা :
* প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা।
* আক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় হাত দিয়ে পিষে মেরে ফেলতে হবে।
* পরিষ্কার পানি জোরে স্প্রে করা ও ক্ষেত পরিষ্কার /পরিচ্ছন্ন রাখা
* লেডি বার্ড বিটলের পূর্নাঙ্গ ও কীড়া (গ্লাব) এবং সিরফিড ফ্লাই এর কীড়া জাব পোকা খায় বিধায় এদের সংরক্ষণ ও সংখ্যা বাড়ানো গেলে জাবপোকা অতিদ্রুত খেয়ে ফেলে।
* হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।
* তামাকের গুড়া (১০গ্রাম) ও সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা।
* আক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেলে ইমিডাক্লোরপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক (যেমন টিডো/ টিডো প্লাস/ইমিটাফ/গেইন
এডমায়ার/কনফিডর) অনুমোদিত হারে প্রয়োগ করতে হবে।
সাবধানতা:
স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না