
আরিফ হোসেন রুদ্র।
শবে বরাতের ইবাদত করা এবং আর এই সকল উপাদান গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নামাজ। সুতরাং শবে বরাতের নফল নামাজ আদায় করা এবং মহান আল্লাহর নিকট বেশী বেশী তওবা করে পাপ কাজের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। আপনাদের মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে শবে বরাত এর নামাজ কত রাকাত? আমরা সকলেই জানি যে শবে বরাতের নামাজ হচ্ছে নফল নামাজ। শবে বরাতের নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই। বান্দা তার ইচ্ছেমত এবং সামর্থ্য অনুযায়ী কত রাকাত নামাজ পড়তে পারে কত রাকাত নামাজ পড়তে হবে। কিছু ইসলামিক বই পাওয়া যায় শবে বরাতের নামাজ ১২ রাকাত ১০০ রাকাত। কিন্তু এই নামায গুলো হাদিস থেকে প্রমাণিত নয়। সুতরাং মুসলমান ভাই ও বোনেরা শবে বরাতের নামাজ সম্পর্কে উদবিগ্ন না আপনারা আপনাদের নিজেদের সামর্থ্য এবং ইচ্ছে মত যত রাকাত নামাজ পড়তে পারেন ঠিক ততটাই নামাজ পড়বেন। আপনারা যদি দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তা’আলার নিকট ক্ষমা চান এবং কান্নাকাটি করে নিজের অপরাধবোধ উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে সেটি মহান আল্লাহর কাছে কবুল হবে এবং একাধিক রাকাত নামাজ পড়লেও আল্লাহর কাছে কবুল হবে।
সবেবরাতে নামাজে কি জায়েয আর কি নাজায়েজ : (ক) নফল নামাজ [১] তাহিয়্যাতুল অজু, [২] দুখুলিল মাসজিদ, [৩] আউওয়াবিন, [৪] তাহাজ্জুদ, [৫] ছলাতুত তাসবিহ [৬] তাওবার নামাজ, [৭] ছলাতুল হাজাত, [৮] ছলাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল ইত্যাদি পড়া। (খ) নামাজে কিরাআত ও রুকু-সেজদা দীর্ঘ করা। (গ) পরের দিন নফল রোজা রাখা; (ঘ) কোরআন শরিফ [১] সুরা দুখান ও [২] অন্যান্য ফজিলতের সুরাসমূহ তিলাওয়াত করা; (ঙ) দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া; (চ) তাওবা-ইস্তিগফার অধিক পরিমাণে করা; (ছ) দোয়া-কালাম, তাসবিহ তাহলিল, জিকির-আসকার ইত্যাদি করা; (জ) কবর জিয়ারত করা; (ঝ) নিজের জন্য, পিতা-মাতার জন্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও সকল মোমিন মুসলমানের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা।
যা যা করা উচিত নয়: (১) আতশবাজি, পটকা ফোটানো, (২) ইবাদত-বন্দেগি বাদ দিয়ে বেহুদা ঘোরাফেরা করা, (৩) অনাকাঙ্ক্ষিত আনন্দ-উল্লাস করা, (৪) অযথা কথাবার্তা ও বেপরোয়া আচরণ করা, (৫) অন্য কারও ইবাদতের বা ঘুমের বিঘ্ন ঘটানো, (৭) হালুয়া-রুটি বা খাওয়াদাওয়ার পেছনে বেশি সময় নষ্ট করে ইবাদত থেকে গাফিল থাকা