নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মোঃ গোলাম রব্বানী।
নীলফামারীতে সন্তান সম্ভাব্য এক নারীকে মাইক্রোবাসচাপার পর টেনে হেঁচড়ে নিতে নিহতের ঘটনার সাত মাস পর চালক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলশ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ২ জুলাই রাত সাড়ে ১২টার দিকে সন্তান সম্ভাব্য শারমিন বেগম (২৫), তার মা ও মেয়েসহ তার বাবার বাড়ি ডোমার থানা হতে সিএনজিযোগে স্বামীর বাড়ি সৈয়দপুরে যাচ্ছিলেন। পথে নীলফামারী সদর থানার সংঘলসী ইউনিয়নের শিমুলতলী নামক স্থানে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস বেপরোয়াভাবে ধাক্কা দিলে শারমিন বেগম মহাসড়কের ওপর পড়ে যান এবং মাইক্রোবাসের সঙ্গে শারমিনের কাপড় পেঁচিয়ে যায়। কিন্তু চালক গাড়ি না থামিয়েই সামনে চলতে থাকেন। মাইক্রোবাসটি প্রায় দুই কিলোমিটার শারমিনকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায় এবং পোরারহাট মহাসড়কের ওপরেই সন্তান প্রসব হয়।
টহলরত সৈয়দপুর থানা পুলিশ শারমিন বেগম ও তার নবজাতক শিশুকে সৈয়দপুর কুন্দুল হাসপাতালে নিয়ে যায়। দায়িত্বরত ডাক্তার মা ও তার সন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন। জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ কলে নীলফামারি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় নীলফামারী থানায় একটি নিয়মিত মামলার রুজু হয়। দীর্ঘ তদন্তের পরে নীলফামারী পুলিশ ঘাতক মাইক্রোবাস চালককে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি নীলফামারী সদর থানার বেড়াকুটি গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।