মো:আমিনুল ইসলাম (কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি):- জন্মসূত্রে নোরা ছিলেন একজন আইরিশ,তাঁর জন্ম আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে ১৯৪৩ সালে।
বাঙালির মহান মুক্তিসংগ্রামে নোরা শরীফের ভূমিকা ছিল অনন্য।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বজনমত গঠনে নোরা পালন করেন ঐতিহাসিক ভূমিকা।
ব্রিটিশ এমপিদের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষে লবিংয়ে দিনের পর দিন,ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর চষে বেড়িয়েছেন নোরা।
১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যারিস্টার নোরা শরীফ প্রায় প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ি নিয়ে ইংল্যান্ডের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন,বাংলাদেশের স্বাধিনতার পক্ষে জনমত গঠনে।
ইংরেজিতে চিঠি লেখা,মুক্তিযুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান,বাংলাদেশের পক্ষে ব্রিটিশ এমপিদের কাছে চিঠি লিখারও দায়িত্ব ছিলো নেরা শরীফের।
পূর্ব পাকিস্তানে নারী ও শিশুদের হত্যা বন্ধে সাহায্য করার জন্য ৩রা এপ্রিল ব্রিটেনের রানীকে একটি পিটিশন প্রদানের জন্য বাকিংহাম প্যালেসে নারী ও শিশুদের একটি মিছিল নিয়ে যাওয়া হয়,সেই মিছিল সংগঠিত ও বাস্তবায়ন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
৪ এপ্রিল ১৯৭১,ট্রাফালগার স্কোয়ারে বিশাল সমাবেশের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নেও নোরা ছিলেন অন্যতম।
সৈন্যদের জন্য নাইট ভিউ সরন্জ্ঞামের ক্রয় এবং প্রেরণ,পোস্টার এবং ব্যানার তৈরি কোথায় ছিলেন না নোরা শরীফ।
বিশ্ব মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ,বিভিন্ন দেশ থেকে শরণার্থী যারা লন্ডনে এসেছিলেন তাদের সহায়তাও করেছেন নোরা শরীফ।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বিভিন্ন দেশের সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করেছেন তিনি।
স্বাধীন বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন তিন বছর।
৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার,সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে নোরা শরীফ ছিলেন সরব।
এমনকি ১/১১-র সময় জননেত্রী শেখ হাসিনা কারারুদ্ধ হলে যুক্তরাজ্যেও প্রতিটি বন্দোলন সংগ্রামের প্রথম কাতারে ছিলেন তিনি।
একাত্তরের যুদ্ধপরাধীদের বিচার শুরু হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষেও জনমত সংগ্রহে বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি।