শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পাইকগাছায় তৃতীয় শ্রেনী ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা: আসামি গ্রেফতার শ্রমিক দলের কমিটি অনুমোদন ও সালাম পিন্টু’র মুক্তি লাভে নাগরপুরে আনন্দ র‌্যালি লালমনিরহাটে স্বাস্থ্যকর শহর গ্রাম কর্মসূচি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই কয়রায় কর্মী সম্মেলনে —ডা. শফিকুর রহমান দুই মাস ধরে অনুপস্থিত হাসপাতালের অফিস সহায়ক লালমনিরহাটে নিভৃত্য পল্লীতে পালিত হলো খ্রীষ্টিয় ধর্মের বড়দিন হলুদ সরিষা ফুল যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলা ভূমি ভূয়া সাংবাদিক ও ভূয়া কর্ণেলকে গনপিটুনি সা’দ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে রায়পুরে বিক্ষোভ মিছিল কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু

এনএসটির অর্থে সুপারফুড বিটরুট নিয়ে গবেষণাঃ বেড়েছে ফলনও

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ৩২ Time View

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ

সুপারফুড নামে পরিচিত ‘বিটরুট’ এর ফলন বৃদ্ধিতে  গবেষণা করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ফাতেমাতুল বুশরা।
বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপের অর্থায়নে চলছে গবেষণা।

গবেষণাটির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মো. হারুন অর রশিদ।

বিটরুট একটি সুপারফুড। এতে প্রোটিন, শর্করা, ভিটামিন, খনিজ উপাদান সবই রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্থোসায়ানিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। আয়রন থাকায় হাড়ের গঠন ভালো হয়। আঁশ বা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে । পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে।

প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে থাকা অধ্যাপক হারুন বলেন, ১০০ গ্রাম বিটরুট খেলে ৪৩ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। এতে ৩% প্রোটিন, ১১% আঁশ বা ফাইবার, ৩% শর্করা, ৮% ভিটামিন সি, ৪% আয়রন, ১% ক্যালসিয়াম, ৯% পটাশিয়াম, ৩% সোডিয়াম, ৫% ভিটামিন বি৬, ৫% ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে এবং কোলেস্টেরল ও সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ ০%।

বুশরা বলেন, বিটরুটের দেশীয় দুইটি হাইব্রিড জাত হার্ট বিট ও রেড বেবি এবং যুক্তরাজ্যের জাত বোল্টার্ডি নিয়ে গবেষণা করছি। তিনটি জাতেই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিরাপদ মাত্রার মধ্যে বিভিন্ন ডোজে জিব্বেরেলিন নামক গ্রোথ প্রোমোটার বা উদ্ভিদের বৃদ্ধিকারক হরমোন ও সুষম মাত্রায় জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রোথ প্রোমোটার ব্যবহার করায় ফলন ভালো হয়েছে।

অধ্যাপক হারুন আরো বলেন, দেশে বিটরুটের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ১২ থেকে ১৫ টন। গ্রোথ প্রোমোটার ব্যবহার করে তিনটি জাতের বিটরুটের গড় ফলন পাওয়া গেছে প্রতি হেক্টরে ২৫ থেকে ৩০ টন। তবে সুষম মাত্রায় জৈব সার এবং গ্রোথ প্রোমোটার সহনশীল ও নিরাপদ মাত্রায় ব্যবহার করা হয়েছে বলে এর কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। বিটরুট শীতকালীন একটি ফসল। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত মোটামুটি ১১০ থেকে ১২০ দিনেই ফলন পাওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, বিটরুটের পাতাতেও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে। আমাদের দেশে কাচা পাতা খাওয়ার প্রচলন না থাকায় পাতা সেদ্ধ করে বা সবজি হিসেবে রান্না করে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।

অধ্যাপক আরও বলেন, পরবর্তীতে গবেষণাগারে গ্রোথ প্রোমোটার ব্যবহার করায় পুষ্টিগুণ কতটুকু বৃদ্ধি পেলো, মিষ্টতা কতটুকু বৃদ্ধি পেলো এসকল বিষয় পরীক্ষা করে দেখা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © Doinik Prothom Barta
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102