নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মোঃ গোলাম রব্বানী।
বাংলাদেশে লেবু বেশ জনপ্রিয় সাইট্রাস জাতীয় একটি ফল। লেবু গাছ আপনি বাগানে বা বারান্দায় বা ছাদে টবে চাষ করতে পারেন। লেবুর ফুল কয়েকটি কারণে ঝরে যেতে পারে।
গাছের অপরিপক্কতা:
লেবু গাছর ফুল ঝরে যেতে পারে তার একটি কারণ হল যদি এটি গাছ খুব ছোট। সাধারণত, বীজ হতে জন্মানো গাছে ফল আসতে শুরু করতে প্রায় বছর সময় লাগে। আর কলমের চারা হলে ২-১ বছরের মধ্যে ফুল চলে আসে। কলমের চারা প্রথম ২-১ বছর ফুল / ফল না নেওয়াই ভালো। এর মধ্যে গাছ সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হতে পারবে।
মাটিতে পুষ্টির ঘাটতি:
লেবু গাছের ফুল ঝরে পড়ার আরেকটি কারণ হল এর পুষ্টির ঘাটতি। সাধারণত লেবুগাছ অল্প যত্নে ভাল ফলন দেয়ার জন্য বিখ্যাত, কিন্তু ফুল ফল থাকা অবস্থায় মাটিতে পটাশিয়ামের অভাব হলে লেবু গাছের ফুল ঝরে যায়। তাই আপনি যদি লেবু গাছে প্রচুর ফলন পেতে চান তবে বসন্তের শুরুতে পটাশিয়াম সার দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
পানি সেচের তারতম্য:
লেবু গাছ এমন একটি গাছ যাতে প্রচুর পরিমাণে পানি সেচ দেওয়া লাগে না আবার খুব কম পানি সেচ দিলেও হবেনা। পানি সেচ দিতে হবে মেপে মেপে।
কারন গাছে পানি বেশি দিলে বা গাছের গোড়ার মাটি স্যাতস্যাতে হলে লেবুগাছ নিজের ফুল ঝরিয়ে দিতে পারে। আবার গাছে পানি কম দিলে বা গাছে পানির অভাব হলেও গাছ নিজে বাঁচার জন্য ফুল ঝড়িয়ে দেয়।
আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে:
আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে লেবু গাছের সম্পর্ক খুবই সংবেনশীল। তাই হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে লেবু গাছের ফুল ঝরে যেতে পারে। লেবুগাছ রোদে সবচেয়ে ভাল হয়। তাই লেবুগাছ দিনে কমপক্ষ ৭-৮ ঘন্টা রোদ লাগে এমন স্থানে রাখতে হয়। যেহেতু রোদে সবচেয়ে স্বাস্থকর ফুল হয়, তাই ছায়ায় রাখলে আপনার গাছের ফুল ঝরে যেতে পারে।
পরাগায়নের অভাবে:
পরাগায়ন সাধারণত মৌমাছি ও অন্যান্য পরাগায়নকারী পোকামাকড় দ্বারা বাহিত হয়। কিন্তু আপনার এলাকায় যদি পোকামাকড়ের সংখ্যা কম থাকে এবং যদি পরাগায়নের কোন সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে আপনাকে এটি নিজে হাতে পরাগায়ন করতে হবে।
কোনো রোগ বা পোকার আক্রমণে:
লেবু গাছের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে ফুল ঝরে যেতে পারে। তাই রোগ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছ রক্ষা করতে হবে।