মো:আমিনুল ইসলাম (কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি): কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ইটভাটার লোভে উর্বর কৃষি জমি ধ্বংসের এক ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক্টর ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে এবং ফসল উৎপাদনে বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।
এই লোভের ফলে:
জমির উর্বর শক্তি হ্রাস পাচ্ছে: মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমির উপরের উর্বর স্তর চলে যায়, যার ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পায়।
ফসল উৎপাদনে বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে: উর্বরতা হ্রাসের ফলে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
জমিতে ধান ও মাছ চাষ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে: মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমিতে জল ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে ধান ও মাছ চাষ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে: মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের বাসস্থান নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে জীববৈচিত্র্য হ্রাস পায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়:
প্রতিবছর প্রতিটি ইটভাটায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ ইট উৎপাদন করা হয়।
মাটি কাটার জন্য ২৭টি খননযন্ত্র ও ৩২২টি ট্রাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে।
মাটিভর্তি ট্রাক্টরগুলো ফসলি জমির উপর দিয়ে চলাচল করায় দুই পাশের জমির ফসল বিনষ্ট হচ্ছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে:
উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার ২৮ হেক্টর ফসলী জমি রয়েছে।
কিছু কৃষক ভাটা মালিকদের লোভে পড়ে প্রতি গাড়ি মাটি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রয় করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান:
এই ধরনের কর্মকান্ড অব্যাহত থাকলে আগামীতে ফসল উৎপাদনে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে:
স্থানীয় প্রশাসনকে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আইন লঙ্ঘনকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কৃষি জমি রক্ষার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এই প্রতিবেদনটি কেবল মুরাদনগরের পরিস্থিতিই তুলে ধরে না, বরং সারা দেশের অনেক এলাকায় যে একই রকম ঘটনা ঘটছে তারও প্রতিফলন ঘটায়।