নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মোঃ গোলাম রব্বানী।
হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে হার্টে রক্তের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা। তবে এটি কিন্তু একমাত্র লক্ষণ নয়।
অনেকের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা নাও থাকতে পারে। কিছু কম পরিচিত লক্ষণও আছে যা তাৎক্ষণিক হার্ট অ্যাটাক এর ইঙ্গিত দেয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের আগে একজন ব্যক্তির মুখ ও ত্বক ফ্যাকাসে ধূসর ও ঘর্মাক্ত দেখাতে পারে। বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারেন বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। উদ্বিগ্ন ও মাথা ঘোরার অনুভূতি ও সৃষ্টি হয় হার্ট অ্যাটাকের আগে।
বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে পুরুষরা প্রধানত বুকে ব্যথা অনুভব করে। অন্যদিকে নারীদের বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমন- শ্বাসকষ্ট, ঘাড় ও চোয়ালে ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াবেন যেভাবে- স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও জীবনধারা বজায় রাখার মাধ্যমে খুব সহজে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো যায়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে। কার্ডিওভাসকুলার ও ইমুউন সিস্টেম ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় রাখুন প্রচুর রঙিন ফল ও শাকসবজি। হার্ট অ্যাটাকে ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অন্য স্বাস্থ্য জটিলতা যেমন উচ্চ কোলেস্টেরল, টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপ কমাবে।
হৃদযন্ত্রসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দৈনন্দিন শরীরচর্চা অপরিহার্য। যদি আপনি প্রতিদিন জিমে ব্যায়াম করার সময় ও পান, তবুও হাঁটা চলার মধ্যে থাকুন। দীর্ঘ সময় বসে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করুন। দৈনিক ৩০-৬০ মিনিট শরীর চর্চা করার চেষ্টা করুন। একেবারে না পারলে ৫-১০ মিনিট করে দিনের বিভিন্ন সময় শরীর চর্চা করুন।