মোঃ শাওন ইসলাম শরনখোলায় প্রতিনিধি:
আগামী ২৮ জানুয়ারি সুন্দরবনে গোলপাতার পাস দেবে বনবিভাগ । তার আগে দেড় লাখ টাকা খরচ করে নৌকা মেরামত করে নামিয়েছি। কিন্তু রাতের অন্ধকারে আমার পাঁচ লাখ টাকার নৌকা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এখন আমি কিভাবে সুন্দরবনে যাবো। এমন অভিযোগ বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের মোঃ নুরুল হক ব্যাপারির ছেলে মো. সেলিম ব্যাপারির।
সেলিম ব্যাপারি বলেন, আমি ১২ বছর ধরে সুন্দরবনে গোলপাতার ব্যবসা করি। ৫ লাখ টাকা খরচ করে একটি বাওয়ালী নৌকা তৈরি করেছি। বর্তমানে দেড় লাখ টাকা খরচ করে নৌকা মেরামত করে নামিয়েছি ৩০ জানুয়ারী সুন্দরবনে যাবো বলে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে কে বা কাহারা আমার নৌকায় আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় তা আমি জানিনা। এখন আমার সুন্দরবনে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া নতুন করে মেরামত করে নৌকা রেডি করতে সময় শেষ হয়ে যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দা শাহারু পহলান বলেন, আমি ফজরের আজানের সময় মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাঁধের উপরে দাঁড়াই। এসময় দেখি নৌকাটিতে ধাউধাউ করে আগুন জ্বলছে। তখন আশপাশের লোকজন নিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেই।
তবে, স্থানীয়দের দাবি রাতের অন্ধকার নামলেই রায়েন্দা শহররক্ষা বাঁধে শুরু হয় মাদকসেবিদের আড্ডা। তখন পুলিশ ও জনগণের আড়ালে যেতে তারা খোঁজে পরিত্যক্ত নৌকা বা ট্রলার । তাই সেলিম ব্যাপারির নৌকা ওই মাদকসেবিদের আগুনেই পুড়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন বাদশা বলেন, এই চড়ে অনেকেই বাওয়ালী নৌকা মেরামত করেন। কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি । সেলিম ব্যাপারির নৌকাটা পুড়িয়ে দেওয়া দুঃখজনক।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।