ইমরান হোসেন ( বেড়া)
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পৌরসভা এলাকায় কুড়ালের কোপে খুন করলেন ঘুমন্ত স্ত্রীকে তার স্বামী। রোববার (২১ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী পৌরসভার কবিরের ভিটা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম লতা রানী শীল (৫০)। তার মরাদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী সত্যচন্দ্র শীল তার বাড়ি নাগেশ্বরী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কবিরের ভিটা এলাকায়।পলাতক বলে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রূপ কুমার সরকার নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া চলে আসছিল। ভোরে স্বামী সত্য চন্দ্র শীল তার ঘুমন্ত স্ত্রী লতা রাণী শীলকে কুড়াল দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত লতা রাণী শীলের বাবার বাড়ি চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মহাদেব পাট এলাকার শীলপাড়ী গ্রামে।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রতিবেশী শামসুল হক জানান, নিহত লতা রানী স্বামীর সঙ্গে শনিবার রাতে একই ঘরে ছিলেন। দিনগত রাত ৩টার দিকে ওই ঘরে অস্বাভাবিক আওয়াজ শুনে পাশের রুমে থাকা তার ছোট ছেলে সাগর (১৭) জেগে ওঠে এবং কী ঘটেছে তা দেখতে যায়।
সাগর দেখতে পায়, তার মায়ের গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে আছে এবং তার পাশে বাবা সত্যচন্দ্র শীল দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এরপর বাবা ও ছেলের বাগবিতণ্ডায় পরিবারের বাকি সদস্যরা জেগে ওঠেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় করেন। সেই সুযোগে লতার স্বামী সত্যচন্দ্র শীল পালিয়ে যান।
এলাকার একাধিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ চলছিল। এর মধ্যে নিহত লতা রানী স্বামীকে না জানিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা ঋণ করেন। সেই ঋণ পরিশোধের জন্য কিছু জমি বিক্রি করেছেন তিনি। এছাড়াও ঋণ পরিশোধের লতা রানী ঢাকা গিয়ে কাজ করতে চাইলে তাতে রাজি হননি তার স্বামী।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানো হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তারিখ ২১/০১/২০২৪