মো:আমিনুল ইসলাম (কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:
কৃষি জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’- এমন সরকারি নীতিমালা থাকলেও ফসলি জমিগুলোকে পরিণত করা হচ্ছে পুকুরে। এক শ্রেণির অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মহলকে নিয়ন্ত্রণ করে,জমির মালিককে মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে কিনে নিচ্ছে মাটি আর পুকুরে পরিণত হচ্ছ কৃষি জমি।
মুরাদনগর উপজেলার ১৪ নং নবী পুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের আবু তাহের সরকার তার ৮০ শতাংশ কৃষি জমিতে স্ক্যাভেটর দিয়ে পুকুর খনন করছে আর সেই মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায়।
এমন খবর শুনে ১৮ ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ঘটিকায় সরজমিনে দেখা যায় ৮০ শতাংশ ফসলি আবাদি জমিতে ৫ দিন যাবৎ স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি খনন চলছে।
এর ফলে ধ্বংশের মুখে চারপাশের আরও ৪ থেকে ৫ শত শতাংশ কৃষি জমি।
সরকারের অনুমিত ছাড়াই নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খনন এবং বাখরনগর গ্রামের মুশাররফ নামে এক অসাধু মাটি ব্যবসায়ী সেই মাটি বিক্রি করছে মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন ইটের ভাটায়।
অবারিত সবুজ হলুদের মাঠে ইরি ব্লক এবং সরিষা খেত, যেখানে দৈনন্দিন কাজ করে আসছে এলাকার কৃষক।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন আমাদের গ্রামে ৫/৭ জনের একটা মাটি ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট আছে তারা বিভিন্ন অসহায় জমির মালিকদের মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে এই কাজটি করে,এদের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো ব্যবসায়ী হচ্ছে মুশাররফ,তার অনেক ক্ষমতা সে নাকি সব-মহলকে ম্যানেজ করে মাটির ব্যবসা করে।
প্রতি দিন বড় বড় ট্রাক ও ট্রলিতে মাটি আনা নেওয়ার কারণে ইটের সলিং এর একমাত্র সড়কও হয়েছে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু সবাই নির্বিকার কেউ মুখ খুলছে না।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পার্মিশন ব্যতিতো কৃষি জমি কাটা যাবে না, শ্রেণিপরিবর্তন করা যাবে না। এটা ডিসি মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে করতে হবে।
কৃষি জমির আকার পরিবর্তন করা যাবে না, মাটি কাটার কোন সুযোগই নেই, আমাদের নলেজে আসলে আমরা বন্ধ করে দিবো এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ আর এভাবে দিনের পর দিন কৃষি জমি নষ্ট হলে কৃষি জমির পরিমাণ যেমন কমবে তেমনি খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিবে, কৃষক না খেয়ে মরবে। কৃষক বাচলে দেশ বাচবে তাই সবার একটি প্রত্যশা শুধু আইন করেই না, আইনের সঠিক প্রয়োগে বন্ধ করতে হবে কৃষি জমির এমন ধ্বংসযজ্ঞ।